ভারত ও কাতারের শিল্প ও বাণিজ্য তদারকি বিষয়ক যৌথ কার্যকারী দলকে যৌথ কমিশনে উন্নীত করা হয়েছে।
ভারতে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে কাতার। সেই সঙ্গেই আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারত এবং কাতারের মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ বৃদ্ধি পাবে । মঙ্গলবার রাতে ভারত এবং কাতারের মধ্যে বাণিজ্য-সহ একাধিক বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। তারপরেই এই কথা জানিয়েছে দুই দেশ।

এই চুক্তির আগে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কাতারের আমিরের সঙ্গে এই বৈঠককে ‘খুবই ফলপ্রসূ’ বলেও উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার দুই দিনের ভারত সফরে আসেন কাতারের আমির। শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানাতে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। কাতারের আমিরকে তাঁর ‘ভাই’ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার, কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকের ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে দিয়ে কাতারের আমিরকে আবার তাঁর ‘ভাই’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ওই বৈঠকের পরে, যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশ জানিয়েছে যে ভারতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে চলেছে কাতার। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্বিগুণ হবে বলেও ঠিক করা হয়েছে। এই বাণিজ্য বেড়ে বছরে ২৮ বিলিয়ন ডলার হবে বলেও লক্ষ্যমাত্রা নেইয়া হয়েছে।

দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, ২০২২-২০২৩ সালের অর্থবর্ষে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যর পরিমাণ ছিল ১৮.৭৭ বিলিয়ন ডলার। কাতার থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানিই ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। সেই বছর ভারতের এলএনজি আমদানির ৪৮% এরও বেশি কাতার থেকে আসে।

উভয় পক্ষই বলেছে যে, তারা দ্বিপাক্ষিক জ্বালানি সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করবে। এর মধ্যে রয়েছে জ্বালানি অবকাঠামোতে পারস্পরিক বিনিয়োগ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি তাদের নিজ নিজ মুদ্রায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিষ্পত্তির বিষয়টিও বিবেচনা করছে দুই দেশ।

কাতারের আমিরের সঙ্গে বৈঠককে ‘খুবই ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই বৈঠকের পরে সোশ্যাল মিডিয়ার তিনি জানান, তাঁদের আলোচনার মূল বিষয় ছিল বাণিজ্য। তিনি জানান, তাঁরা ভারত এবং কাতারের মধ্যে বাণিজ্য সংযোগ বাড়াতে এবং বৈচিত্র্য আনতে চাইছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে তাঁরা নিবিড়ভাবে কাজ করবেন তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ, টেকনোলজি, স্বাস্থ্য, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, গ্রিন হাইড্রোজেন ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করবেন তাঁরা।কাতারের আমিরের এই সফর দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বর সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণেই ভারত সফরে এসেছেন আল-থানি। ভারতে এটি তাঁর দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফর। এর আগে ২০১৫ সালের মার্চ মাসে ভারতে এসেছিলেন তিনি। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক