এটি পশ্চিম এশিয়া ও উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততার সর্বশেষ প্রকাশ।
দুদিনের সফরে ভারতে এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। আতিথেয়তার বিরল নিদর্শন দেখিয়ে তাঁকে বিমানবন্দরে গিয়ে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঙ্গলবার দুই দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করল। বাণিজ্য, জ্বালানি, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন, প্রযুক্তির উপর জোর দিয়ে বহু মউ স্বাক্ষরও হয়েছে এদিন।
বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এদিন মোদী ও আমির শেখের মধ্যে নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। এমনকী, ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন প্রসঙ্গ নিয়েও দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তাঁরা। উল্লেখ্য, কুয়েত, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, সৌদি আরবের সঙ্গেও কৌশলগত অংশীদারিত্ব রয়েছে ভারতের।
এদিনের বৈঠক প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে যে, পশ্চিম এশিয়া নিয়ে যেমন কথা হয়েছে তেমনই কথা হয়েছে ইজরায়েল-হামাস নিয়েও। ভারত যেমন তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে, তেমনই কাতারও জানিয়েছে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি।
বলে রাখা ভালো, দু’দিনের সফরে এদেশে এসেছেন আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। এটা তাঁর দ্বিতীয় ভারত সফর। এর আগে এদেশে এসেছিলেন ২০১৫ সালের মার্চে। সেই হিসেবে প্রায় এক দশক পরে নয়াদিল্লিতে পা রাখলেন তিনি।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণেই সাড়া দিয়ে তিনি এদেশে এসেছেন। এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বরাবরই কাতার ও ভারতের মধ্যে গাঢ় বন্ধুত্ব রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সেই সম্পর্কের আরও উন্নতি হয়েছে। ভারত চায় পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে। উদ্দেশ্য, জ্বালানির চাহিদা পূরণ করা। সেক্ষেত্রে কাতারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস পায় নয়াদিল্লি। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক