আগামী ১৩ জানুয়ারি কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লক্ষ্য জেড-মোড় টানেলের উদ্বোধন
বিধানসভা নির্বাচনের পর কেটে গিয়েছে তিনমাস। জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠন করেছে ওমর আবদুল্লার দল। যদিও পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা এখনও ফেরেনি। এই আবহে আগামী ১৩ জানুয়ারি কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লক্ষ্য জেড-মোড় টানেলের উদ্বোধন।
শ্রীনগরের সঙ্গে সোনমার্গকে জুড়তে এই টানেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সোমবার টানেলটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে খবর। গান্ধেরবাল জেলার শ্রীনগর-লেহ হাইওয়ে বরাবর ৬.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলটি তৈরি হয়েছে প্রায় ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে।
কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে পুরো এলাকা। মধ্য কাশ্মীরে সোনমার্গ এলাকার গাগাঙ্গিরে সুড়ঙ্গের উদ্বোধনের পর জনসভায় ভাষণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। গত বছর অক্টোবরে টানেলের একটি নির্মীয়মাণ অংশে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এক চিকিৎসক সহ ছ’জন শ্রমিক নিহত হন।
ফলে উদ্বোধনের আগে ওই এলাকার নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। বহুস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। জনসাধারণের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনুষ্ঠানস্থল। সুষ্ঠুভাবে সমগ্র অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করার জন্য মহড়া দিচ্ছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত শ্রীনগর-লেহ জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
লাদাখের সঙ্গে শ্রীনগরকে জুড়তে তৈরি হচ্ছে জোজিলা টানেল। এই টানেলের কাজ শেষ হলে সড়ক পরিবহণ তো বটেই লাদাখের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সেনাবাহিনীর নানা সরঞ্জাম ও অন্যান্য রসদ পৌঁছে দেওয়া আরও সহজ হবে।
এই টানেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল জেড-মোড়। প্রথম সুড়ঙ্গের মাধ্যমে শ্রীনগর থেকে সোনমার্গ পৌঁছনো যাবে। তারপরে টানেলের পরবর্তী অংশ দিয়ে লাদাখে পৌঁছনো সম্ভব হবে। প্রতিকূল আবহাওয়াতেও এই টানেলের মধ্য দিয়ে যাতায়াত করা যাবে।
১৪.২ কিলোমিটার বিস্তৃতি জোজিলা টানেল হবে এশিয়ার দীর্ঘতম দ্বিমুখী টানেল। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, পর্যটনের ক্ষেত্রে এই টানেল গেম চেঞ্জার হবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক।