এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত আসতে চলেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি আগামী সপ্তাহে ভারত সফর করবেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ফেব্রুয়ারি ১৭ থেকে ১৮ তারিখে দুই দিনের সফরে ভারতে আসছেন কাতারের আমির। তার সঙ্গে থাকবেন মন্ত্রীবর্গ, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল।
এটি কাতারের আমিরের ভারতের দ্বিতীয় সফর। তিনি প্রথমবার ২০১৫ সালের মার্চে রাষ্ট্র সফরে ভারত এসেছিলেন।
এই সফরের সময় আমির ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে একটি আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা পাবেন।
সফরের সময়, আমির ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুরমুর সাথে আলোচনা করবেন, যিনি তার সম্মানে একটি ভোজসভা আয়োজন করবেন।
আমির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
ভারত এবং কাতারের মধ্যে ইতিহাসে গভীর বন্ধুত্ব, আস্থা ও পারস্পরিক সম্মান রয়েছে।
সম্প্রতি, দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়েছে, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শক্তি, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে।
কাতারে বসবাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায় কাতারের বৃহত্তম প্রবাসী সম্প্রদায়, এবং দেশটির অগ্রগতি ও উন্নয়নে তাদের ইতিবাচক অবদান প্রশংসিত হয়।
আমিরের এই সফর আমাদের বহুমুখী সম্পর্ককে আরও ত্বরান্বিত করবে।
ভারত এবং কাতারের মধ্যে শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে। কাতার ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, বিশেষত উপসাগরীয় অঞ্চলে।
তবে, ভারত-কাতার সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো কাতারে বসবাসকারী বিশাল ভারতীয় প্রবাসী সম্প্রদায়। এই সম্প্রদায়টি দেশটির অর্থনৈতিক ও সামাজিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ভারত এবং কাতার শ্রম আইন, অধিকার এবং কাতারে ভারতীয় শ্রমিকদের কল্যাণের ক্ষেত্রে শক্তিশালী সহযোগিতা বজায় রেখেছে।
ভারত এবং কাতার নিয়মিত নেতৃত্ব পর্যায়ে সফর চালিয়ে আসছে, যা রাজনৈতিক সম্পর্ককে দৃঢ় করেছে এবং সহযোগিতা সম্প্রসারণে সাহায্য করছে।
কাতার আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রায়ই ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে এবং উভয় দেশ আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়ক বিষয়ে সমন্বিত অবস্থান গ্রহণ করেছে। একে অপরের সার্বভৌমত্বের প্রতি পারস্পরিক সম্মান এবং জাতিসংঘের মতো বহু-পাক্ষিক সংস্থায় সহযোগিতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
দুই দেশ তাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা আরও উন্নত করেছে, বিশেষ করে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা বিষয়ে। এতে যৌথ সামরিক মহড়া এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সংস্কৃতি এবং জনগণের মধ্যে বিনিময় বাড়ছে, বিশেষ করে শিক্ষা, ক্রীড়া এবং পর্যটন ক্ষেত্রে। অনেক কাতারি ভারত সফর করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিতে, এবং কাতারে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলি একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
সম্প্রতি, উভয় দেশ প্রযুক্তির মতো উদীয়মান খাতগুলিতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে।
ভারত-কাতার সম্পর্ক শক্তিশালী এবং বহুমুখী, যা বাণিজ্য, শক্তি, শ্রম, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সহযোগিতা জুড়ে বিস্তৃত। আশা করা হচ্ছে, প্রযুক্তি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো নতুন সুযোগ কাজে লাগানোর মাধ্যমে এই অংশীদারিত্ব আরও বাড়বে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
ReplyForwardForward |