সামিটে আরও উপস্থিত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও চীনের ভাইস প্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াং।
দুই দিনের সফরে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারী) দেশটিতে পৌঁছবেন তিনি। সফরের অংশ হিসেবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানে ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারি হতে চলেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সামিট। সেই এআই সামিটেও যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, ফ্রান্স সফরে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ভারত-ফ্রান্স সিইওস ফোরামে ভাষণ দেবেন এবং উভয় নেতা দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় অংশ নেবেন, যা সীমিত ও প্রতিনিধি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।

সফরসূচি অনুযায়ী, ১০ ফেব্রুয়ারির সন্ধ্যায় প্যারিসে পৌঁছানোর পরপরই প্রধানমন্ত্রী মোদী ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন।

 এই নৈশভোজে সম্মেলনে অংশ নেওয়া রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত থাকবেন।

১১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ যৌথভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অ্যাকশন সামিটের সভাপতিত্ব করবেন। সামিটে এআই-এর জনস্বার্থে ব্যবহারের উপায়, কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ, উদ্ভাবন, এআই-এ আস্থা এবং এআই-এর বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

এই সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও চীনের ভাইস প্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াংও অংশ নেবেন। এর আগে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুরূপ বৈশ্বিক ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সামিট চলাকালীন ফ্রান্স এআই-এর বৈশ্বিক সমন্বয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ‘এআই ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১১ ফেব্রুয়ারির বিকেলে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ একটি সিইও রাউন্ডটেবিল আলোচনায় অংশ নেবেন। এ বৈঠকে ভারত-ফ্রান্সের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে।

এরপর প্রধানমন্ত্রী মোদী মার্সেই শহরে যাবেন, যেখানে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ তাঁর সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করবেন। ১২ ফেব্রুয়ারির সকালে দুই নেতা মাজারগ যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করবেন। এটি কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভস কমিশনের অধীনে পরিচালিত একটি যুদ্ধ সমাধিক্ষেত্র।

পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্র জানান, “এই সফর উভয় নেতার জন্য ভারতীয় সৈন্যদের প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রদত্ত আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হবে।” সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক