বিভিন্ন দেশের পর্যটন মন্ত্রীরা প্যাভিলিয়নের উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করেন বলে জানা গিয়েছে।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয় ৫-৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট-এ অংশগ্রহণ করছে। এই অংশগ্রহণের লক্ষ্য হলো ভারতে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং দেশটিকে একটি প্রধান বৈশ্বিক ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। লন্ডনের এক্সেল লন্ডনে আয়োজিত এই মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্টে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছে প্রায় ৫০ জন স্টেকহোল্ডারের একটি শক্তিশালী দল। এদের মধ্যে আছেন বিভিন্ন রাজ্যের পর্যটন বোর্ড, ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেটর, বিমান পরিবহন সংস্থা এবং হসপিটালিটি সেবা প্রদানকারীরা, যারা ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি এবং বিশাল পর্যটন সম্ভাবনা তুলে ধরতে প্রস্তুত।
যুক্তরাজ্য, যেখানে প্রায় ১.৯ মিলিয়ন ভারতীয় প্রবাসী বাস করেন, ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইনবাউন্ড পর্যটনের উৎস। ২০২৩ সালে ভারত ৯.৫ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছিল, যার মধ্যে ৯.২ লক্ষ পর্যটক এসেছিলেন যুক্তরাজ্য থেকে। এই শক্তিশালী সংযোগ বিবেচনায় রেখে ভারতীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২৪-এ একটি বিশেষ ইন্ডিয়া প্যাভিলিয়ন তৈরি করেছে, যেখানে ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন প্রদর্শিত হচ্ছে। প্যাভিলিয়নে আধ্যাত্মিক ও স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার কেন্দ্র, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম, ইকো-ট্যুরিজম এবং গুরমেট ভ্রমণের মতো বিশেষায়িত পর্যটন অভিজ্ঞতাও প্রদর্শিত হচ্ছে।
মাইস, ওয়েডিং, এবং মহাকুম্ভ পর্যটনে বিশেষ মনোযোগ
এ বছরের প্যাভিলিয়নের কেন্দ্রবিন্দু হলো মাইস (মিটিং, ইনসেনটিভস, কনফারেন্সেস এবং এক্সিবিশন), ওয়েডিং ট্যুরিজম এবং আসন্ন মহাকুম্ভ মেলা। প্যাভিলিয়নের অন্যতম আকর্ষণ হলো একটি মক মণ্ডপ, যা ভারতের ঐতিহ্যবাহী বিয়ের জাঁকজমক এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরছে। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে ভারতীয় বিয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাইস সেক্টরে ভারতকে বৈশ্বিক ব্যবসায়িক ইভেন্ট ও কনফারেন্সের প্রধান গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার জন্য শীর্ষস্থানীয় সুবিধাসমূহ এবং ভেন্যু সম্পর্কে তথ্যও শেয়ার করা হচ্ছে।
রাজ্যগুলোর অংশগ্রহণ এবং যৌথ প্রদর্শনী
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট-এ ভারতের উপস্থিতি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সক্রিয় অংশগ্রহণে এটি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। প্রধান অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ওডিশা, কেরালা, তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের পর্যটন বিভাগ। এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর, পুদুচেরি এবং দাদরা ও নগর হাভেলি ও দমন ও দিউ-র প্রতিনিধিরাও রয়েছে।
প্রত্যেক রাজ্য তাদের স্বতন্ত্র পর্যটন অভিজ্ঞতা তুলে ধরছে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং তাদের বিশেষ আকর্ষণ সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছেন।
ওডিশার উপ-মুখ্যমন্ত্রী পার্বতী পারিদা এবং তেলেঙ্গানা, গোয়া ও উত্তরাখণ্ডের প্রতিনিধিরা প্যাভিলিয়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুগ্ধা সিনহা উদ্বোধনে সভাপতিত্ব করেন।
‘চলো ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ: প্রবাসীদের ভূমিকা
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২৪-এ ভারতের অংশগ্রহণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো যুক্তরাজ্যে ‘চলো ইন্ডিয়া’ ক্যাম্পেইনের সূচনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে ভারতের পর্যটন প্রচার করার এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রবাসীদের অনুরোধ করা হচ্ছে তাদের অ-ভারতীয় বন্ধু ও সহকর্মীদের ভারতে আমন্ত্রণ জানাতে, যাতে তারা ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারেন।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, রেফার করা অতিথিদের জন্য গ্রাটিস ই-ট্যুরিস্ট ভিসার মতো প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্রবাসীরা চলো ইন্ডিয়া পোর্টালে নিবন্ধন করে তাদের অ-ভারতীয় বন্ধুদের ভ্রমণে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ পোর্টাল ও কন্টেন্ট হাব
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয় ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া কন্টেন্ট হাব ও ডিজিটাল পোর্টাল’ চালু করেছে। এই প্ল্যাটফর্মটি ট্যুর অপারেটর, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষকদের জন্য একটি কেন্দ্রীয় তথ্যসূত্র হিসেবে কাজ করছে।
ভারতের পর্যটন কৌশল টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশগত লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বিত। জি২০ নেতৃত্বের বছরে ভারতের পর্যটন সম্ভাবনা প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশটি এর ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২৪-এ ভারতের অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের অবস্থান সুসংহত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
যুক্তরাজ্য, যেখানে প্রায় ১.৯ মিলিয়ন ভারতীয় প্রবাসী বাস করেন, ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ইনবাউন্ড পর্যটনের উৎস। ২০২৩ সালে ভারত ৯.৫ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটককে স্বাগত জানিয়েছিল, যার মধ্যে ৯.২ লক্ষ পর্যটক এসেছিলেন যুক্তরাজ্য থেকে। এই শক্তিশালী সংযোগ বিবেচনায় রেখে ভারতীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২৪-এ একটি বিশেষ ইন্ডিয়া প্যাভিলিয়ন তৈরি করেছে, যেখানে ভারতের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্যের মেলবন্ধন প্রদর্শিত হচ্ছে। প্যাভিলিয়নে আধ্যাত্মিক ও স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার কেন্দ্র, অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম, ইকো-ট্যুরিজম এবং গুরমেট ভ্রমণের মতো বিশেষায়িত পর্যটন অভিজ্ঞতাও প্রদর্শিত হচ্ছে।
মাইস, ওয়েডিং, এবং মহাকুম্ভ পর্যটনে বিশেষ মনোযোগ
এ বছরের প্যাভিলিয়নের কেন্দ্রবিন্দু হলো মাইস (মিটিং, ইনসেনটিভস, কনফারেন্সেস এবং এক্সিবিশন), ওয়েডিং ট্যুরিজম এবং আসন্ন মহাকুম্ভ মেলা। প্যাভিলিয়নের অন্যতম আকর্ষণ হলো একটি মক মণ্ডপ, যা ভারতের ঐতিহ্যবাহী বিয়ের জাঁকজমক এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরছে। আন্তর্জাতিক পর্যটকদের মধ্যে ভারতীয় বিয়ের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাইস সেক্টরে ভারতকে বৈশ্বিক ব্যবসায়িক ইভেন্ট ও কনফারেন্সের প্রধান গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরার জন্য শীর্ষস্থানীয় সুবিধাসমূহ এবং ভেন্যু সম্পর্কে তথ্যও শেয়ার করা হচ্ছে।
রাজ্যগুলোর অংশগ্রহণ এবং যৌথ প্রদর্শনী
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট-এ ভারতের উপস্থিতি পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সক্রিয় অংশগ্রহণে এটি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। প্রধান অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ড, গোয়া, ওডিশা, কেরালা, তামিলনাডু, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের পর্যটন বিভাগ। এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর, পুদুচেরি এবং দাদরা ও নগর হাভেলি ও দমন ও দিউ-র প্রতিনিধিরাও রয়েছে।
প্রত্যেক রাজ্য তাদের স্বতন্ত্র পর্যটন অভিজ্ঞতা তুলে ধরছে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং তাদের বিশেষ আকর্ষণ সম্পর্কে জানার সুযোগ পাচ্ছেন।
ওডিশার উপ-মুখ্যমন্ত্রী পার্বতী পারিদা এবং তেলেঙ্গানা, গোয়া ও উত্তরাখণ্ডের প্রতিনিধিরা প্যাভিলিয়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুগ্ধা সিনহা উদ্বোধনে সভাপতিত্ব করেন।
‘চলো ইন্ডিয়া’ উদ্যোগ: প্রবাসীদের ভূমিকা
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২৪-এ ভারতের অংশগ্রহণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো যুক্তরাজ্যে ‘চলো ইন্ডিয়া’ ক্যাম্পেইনের সূচনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রবাসী ভারতীয়দের মাধ্যমে ভারতের পর্যটন প্রচার করার এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রবাসীদের অনুরোধ করা হচ্ছে তাদের অ-ভারতীয় বন্ধু ও সহকর্মীদের ভারতে আমন্ত্রণ জানাতে, যাতে তারা ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারেন।
এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে, রেফার করা অতিথিদের জন্য গ্রাটিস ই-ট্যুরিস্ট ভিসার মতো প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্রবাসীরা চলো ইন্ডিয়া পোর্টালে নিবন্ধন করে তাদের অ-ভারতীয় বন্ধুদের ভ্রমণে আমন্ত্রণ জানানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ পোর্টাল ও কন্টেন্ট হাব
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয় ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া কন্টেন্ট হাব ও ডিজিটাল পোর্টাল’ চালু করেছে। এই প্ল্যাটফর্মটি ট্যুর অপারেটর, সাংবাদিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষকদের জন্য একটি কেন্দ্রীয় তথ্যসূত্র হিসেবে কাজ করছে।
ভারতের পর্যটন কৌশল টেকসই উন্নয়ন এবং পরিবেশগত লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সমন্বিত। জি২০ নেতৃত্বের বছরে ভারতের পর্যটন সম্ভাবনা প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশটি এর ঐতিহ্য এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল মার্কেট ২০২৪-এ ভারতের অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের অবস্থান সুসংহত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক