প্রশিক্ষণের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতাও ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু, জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর।
ভারত-মার্কিন সামরিক সহযোগিতা গ্রুপের (এমসিজি) ২১তম সংস্করণ ৬ নভেম্বর, ২০২৪-এ নয়াদিল্লির মানেকশ সেন্টারে সমাপ্ত হয়েছে। দুই দিনের এই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন এবং প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেন, যা দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে গভীর করতে সহায়ক।
প্রধান আলোচ্য বিষয়বস্তু
ভারত থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে.পি. ম্যাথিউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোশুয়া এম. রুডের সহ-সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার মূল বিষয় ছিল সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ বিনিময়, প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা এবং যৌথ মহড়া। এগুলো উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে কৌশলগত ও কার্যকরী সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে।
এমসিজি প্ল্যাটফর্মটি প্রতিরক্ষা সম্পর্ক মজবুত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গতিশীল নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার গুরুত্ব এই বৈঠকে পুনর্ব্যক্ত করা হয়। উভয় পক্ষই সাধারণ নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবিলায় একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর গুরুত্ব দেয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “উভয় পক্ষ ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে এবং কার্যকরী যোগাযোগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”
ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ও প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা
বৈঠকে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর আলোচনা হয়। প্রশিক্ষণ বিনিময়, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ভাগাভাগি এবং যৌথ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর মাধ্যমে উভয় দেশের সামরিক বাহিনী তাদের কার্যক্রমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে পারবে।
প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতাও আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। উভয় দেশ চলমান প্রকল্প পর্যালোচনা করে নতুন প্রতিরক্ষা উৎপাদন খাতের সুযোগগুলো চিহ্নিত করেছে।
যৌথ মহড়া চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও আলোচিত হয়। এই মহড়াগুলো উভয় দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত করতে সহায়ক।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জটিল নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উভয় দেশ তাদের প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টা সমন্বিত করার ওপর জোর দেয়। হাইব্রিড যুদ্ধ কৌশল, সাইবার সিকিউরিটি এবং সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জের মতো ঐতিহ্যবাহী ও অপ্রচলিত নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোরদার
বিগত বছরগুলোতে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অব এগ্রিমেন্ট, কমিউনিকেশনস কমপ্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট, এবং বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট-এর মতো চুক্তিগুলো এই সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
২১তম এমসিজি বৈঠক ইন্দো-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। উভয় দেশ আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষা, উদীয়মান হুমকি মোকাবিলা, এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ বৈঠকটি ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
প্রধান আলোচ্য বিষয়বস্তু
ভারত থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে.পি. ম্যাথিউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোশুয়া এম. রুডের সহ-সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার মূল বিষয় ছিল সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ বিনিময়, প্রতিরক্ষা শিল্পে সহযোগিতা এবং যৌথ মহড়া। এগুলো উভয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে কৌশলগত ও কার্যকরী সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত হয়েছে।
এমসিজি প্ল্যাটফর্মটি প্রতিরক্ষা সম্পর্ক মজবুত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের গতিশীল নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার গুরুত্ব এই বৈঠকে পুনর্ব্যক্ত করা হয়। উভয় পক্ষই সাধারণ নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবিলায় একটি সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গির ওপর গুরুত্ব দেয়।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “উভয় পক্ষ ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে এবং কার্যকরী যোগাযোগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।”
ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ও প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতা
বৈঠকে সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর আলোচনা হয়। প্রশিক্ষণ বিনিময়, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ভাগাভাগি এবং যৌথ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এর মাধ্যমে উভয় দেশের সামরিক বাহিনী তাদের কার্যক্রমের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে পারবে।
প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতাও আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। উভয় দেশ চলমান প্রকল্প পর্যালোচনা করে নতুন প্রতিরক্ষা উৎপাদন খাতের সুযোগগুলো চিহ্নিত করেছে।
যৌথ মহড়া চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তাও আলোচিত হয়। এই মহড়াগুলো উভয় দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় প্রস্তুত করতে সহায়ক।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জটিল নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উভয় দেশ তাদের প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টা সমন্বিত করার ওপর জোর দেয়। হাইব্রিড যুদ্ধ কৌশল, সাইবার সিকিউরিটি এবং সামুদ্রিক চ্যালেঞ্জের মতো ঐতিহ্যবাহী ও অপ্রচলিত নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোরদার
বিগত বছরগুলোতে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। লজিস্টিকস এক্সচেঞ্জ মেমোরেন্ডাম অব এগ্রিমেন্ট, কমিউনিকেশনস কমপ্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট, এবং বেসিক এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট-এর মতো চুক্তিগুলো এই সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
২১তম এমসিজি বৈঠক ইন্দো-মার্কিন কৌশলগত সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। উভয় দেশ আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষা, উদীয়মান হুমকি মোকাবিলা, এবং প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ বৈঠকটি ইন্দো-মার্কিন প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক