ভারত-গায়ানা প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছিল এই বছরের শুরুতে গায়ানায় দুটি ডরনিয়ার-২২৮ বিমান সরবরাহ
গায়ানা ডিফেন্স ফোর্সের (জিডিএফ) চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ ব্রিগেডিয়ার ওমর খান বর্তমানে ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সফরে রয়েছেন। এই সফরের মূল লক্ষ্য প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে জোরদার করা। ব্রিগেডিয়ার খানের পাঁচ দিনের এই সফরটি ভারত-গায়ানা প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে মজবুত করার উদ্দেশ্যে ভারতীয় সামরিক নেতাদের সাথে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা এবং ভারতের প্রধান প্রতিরক্ষা উত্পাদন কেন্দ্রে সফরের জন্য পরিকল্পিত।
এই সফর গায়ানার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর এবং ভারতের সাথে সহযোগিতার সুযোগগুলি অন্বেষণের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে। ভারত ও গায়ানার মধ্যে কয়েক দশকের মজবুত কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ সফর হচ্ছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রধানদের সাথে মূল সাক্ষাৎ ও আলোচনা
ব্রিগেডিয়ার খানের সফরটি শুরু হয় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর, ২০২৪) দিল্লিতে ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহানের সাথে একটি বৈঠকের মাধ্যমে। আলোচনায় পারস্পরিক বোঝাপড়া উন্নয়ন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা শক্তিশালীকরণ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাড়ানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হয়। জেনারেল চৌহান গায়ানার বাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং "মেক ইন ইন্ডিয়া" এবং "মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড" উদ্যোগের আওতায় ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা উত্পাদন ক্ষমতার কথা উল্লেখ করেন।
এরপর ব্রিগেডিয়ার খান ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ প্রধানদের সাথে সাক্ষাৎ করেন, যারা দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক সম্প্রসারণের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ব্রিগেডিয়ার খানকে স্বাগত জানান এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী ও জিডিএফ-এর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও কার্যক্রম বিনিময়ের উন্নতির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন, যা শান্তিরক্ষা ও সংকট মোকাবেলায় সহযোগিতাকে আরও গভীর করবে।
বিমান বাহিনী প্রধান গায়ানার অনন্য নিরাপত্তা পরিবেশে বিমান নজরদারি ও দুর্যোগ প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ তুলে ধরেন। ব্রিগেডিয়ার খান ও বিমান বাহিনী প্রধান যৌথ প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা-বৃদ্ধিমূলক অনুশীলনগুলির জন্য সম্ভাব্য উপায়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে বিমান অপারেশন এবং প্রযুক্তি বিনিময় অন্তর্ভুক্ত।
ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে. ত্রিপাঠি ব্রিগেডিয়ার খানের সাথে সাক্ষাতে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতার প্রসার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। ভারতীয় নৌবাহিনী জিডিএফ-কে সামুদ্রিক টহল এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি বাড়াতে সহায়তা করতে আগ্রহী। উভয় নেতা সামুদ্রিক সচেতনতা বাড়ানোর জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেন, যা জলদস্যুতা এবং অবৈধ চোরাচালানের মতো হুমকি থেকে আঞ্চলিক জলসীমাকে সুরক্ষিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংসের (ডিপিএসইউ) পরিদর্শন
এই সফরের অংশ হিসেবে, ব্রিগেডিয়ার খান এবং তার প্রতিনিধিদল ভারতের প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস (ডিপিএসইউ) এবং প্রধান প্রতিরক্ষা উত্পাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে গায়ানার কর্মকর্তারা ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা উত্পাদন সক্ষমতা এবং দেশীয় প্রতিরক্ষা উত্পাদনের অগ্রগতির বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি পাবেন, যা বিমান থেকে উন্নত অস্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃত।
এই পরিদর্শনগুলি ভবিষ্যতে সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে, যা গায়ানার সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম অর্জনের সম্ভাবনাকে বাড়াবে।
ভারত ও গায়ানার কূটনৈতিক সম্পর্ক ১৯৬৫ সালে শুরু হয়েছিল, যখন জর্জটাউনে ভারতীয় কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা গায়ানার স্বাধীনতার পর ১৯৬৮ সালে উচ্চ কমিশনে উন্নীত করা হয়। বছর ধরে, এই অংশীদারিত্ব প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারত-গায়ানা প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি মূল মাইলফলক ছিল সাম্প্রতিককালে দুটি ডরনিয়ার-২২৮ বিমান সরবরাহ, যা ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের ২৩.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সুবিধার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। এই বিমানগুলি হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (এইচএএল) দ্বারা নির্মিত, যা গায়ানার সামুদ্রিক এবং বিমান নজরদারি সক্ষমতাকে সমর্থন করবে, যাতে জিডিএফ নিরাপত্তা হুমকি এবং জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে আরও কার্যকরভাবে সাড়া দিতে পারে।
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠির সাথে বৈঠকের সময়, ব্রিগেডিয়ার খান গায়ানার সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের বিশাল অভিজ্ঞতা থেকে শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ভারতীয় নৌবাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগগুলি জিডিএফ-কে তাদের সামুদ্রিক টহল সক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করবে, যা গায়ানার আঞ্চলিক জলসীমা এবং নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
প্রতিরক্ষা উৎপাদন সহযোগিতা সম্প্রসারণ
ব্রিগেডিয়ার খানের আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ভারতের “মেক ইন ইন্ডিয়া” এবং “মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড” উদ্যোগ, যা গায়ানার জন্য উচ্চমানের, সাশ্রয়ী মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে। এটি গায়ানার আত্মনির্ভরশীল প্রতিরক্ষা অবকাঠামো শক্তিশালী করার লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গায়ানার প্রতিনিধিদল বিভিন্ন ডিপিএসইউ পরিদর্শন করার সময়, তারা ভারতের দেশীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করবেন, যা ভবিষ্যত সরবরাহ চুক্তির ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারে।
ভারতের প্রতিরক্ষা উত্পাদন সক্ষমতা ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং এখন ক্যারিবিয়ান দেশগুলিতে উপকৃত হয়েছে, যা সাশ্রয়ী সমাধানের মাধ্যমে নিরাপত্তা কাঠামো বাড়ানোর ইচ্ছুক দেশগুলির জন্য বিশ্বস্ত অংশীদার হিসাবে ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
ব্রিগেডিয়ার ওমর খানের ভারত সফর দুই দেশের মধ্যে আরও গভীর কৌশলগত সম্পর্কের অঙ্গীকার নির্দেশ করে, যেখানে উভয় পক্ষের জন্য স্পষ্ট সুবিধা প্রত্যাশিত। জটিল নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবিলায় ভারত-গায়ানা অংশীদারিত্ব সামরিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময়, এবং সামুদ্রিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে চলবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
এই সফর গায়ানার প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর এবং ভারতের সাথে সহযোগিতার সুযোগগুলি অন্বেষণের ইচ্ছাকে প্রতিফলিত করে। ভারত ও গায়ানার মধ্যে কয়েক দশকের মজবুত কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ সফর হচ্ছে।
ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রধানদের সাথে মূল সাক্ষাৎ ও আলোচনা
ব্রিগেডিয়ার খানের সফরটি শুরু হয় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর, ২০২৪) দিল্লিতে ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) জেনারেল অনিল চৌহানের সাথে একটি বৈঠকের মাধ্যমে। আলোচনায় পারস্পরিক বোঝাপড়া উন্নয়ন, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা শক্তিশালীকরণ এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা বাড়ানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া হয়। জেনারেল চৌহান গায়ানার বাহিনীকে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং "মেক ইন ইন্ডিয়া" এবং "মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড" উদ্যোগের আওতায় ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রতিরক্ষা উত্পাদন ক্ষমতার কথা উল্লেখ করেন।
এরপর ব্রিগেডিয়ার খান ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ প্রধানদের সাথে সাক্ষাৎ করেন, যারা দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক সম্প্রসারণের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ব্রিগেডিয়ার খানকে স্বাগত জানান এবং ভারতীয় সেনাবাহিনী ও জিডিএফ-এর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও কার্যক্রম বিনিময়ের উন্নতির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন, যা শান্তিরক্ষা ও সংকট মোকাবেলায় সহযোগিতাকে আরও গভীর করবে।
বিমান বাহিনী প্রধান গায়ানার অনন্য নিরাপত্তা পরিবেশে বিমান নজরদারি ও দুর্যোগ প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ তুলে ধরেন। ব্রিগেডিয়ার খান ও বিমান বাহিনী প্রধান যৌথ প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা-বৃদ্ধিমূলক অনুশীলনগুলির জন্য সম্ভাব্য উপায়গুলি নিয়ে আলোচনা করেন, যার মধ্যে বিমান অপারেশন এবং প্রযুক্তি বিনিময় অন্তর্ভুক্ত।
ভারতীয় নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনেশ কে. ত্রিপাঠি ব্রিগেডিয়ার খানের সাথে সাক্ষাতে সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও প্রশিক্ষণে সহযোগিতার প্রসার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। ভারতীয় নৌবাহিনী জিডিএফ-কে সামুদ্রিক টহল এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি বাড়াতে সহায়তা করতে আগ্রহী। উভয় নেতা সামুদ্রিক সচেতনতা বাড়ানোর জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেন, যা জলদস্যুতা এবং অবৈধ চোরাচালানের মতো হুমকি থেকে আঞ্চলিক জলসীমাকে সুরক্ষিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংসের (ডিপিএসইউ) পরিদর্শন
এই সফরের অংশ হিসেবে, ব্রিগেডিয়ার খান এবং তার প্রতিনিধিদল ভারতের প্রতিরক্ষা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংস (ডিপিএসইউ) এবং প্রধান প্রতিরক্ষা উত্পাদন কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এই পরিদর্শনের মাধ্যমে গায়ানার কর্মকর্তারা ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা উত্পাদন সক্ষমতা এবং দেশীয় প্রতিরক্ষা উত্পাদনের অগ্রগতির বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি পাবেন, যা বিমান থেকে উন্নত অস্ত্র পর্যন্ত বিস্তৃত।
এই পরিদর্শনগুলি ভবিষ্যতে সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে, যা গায়ানার সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়ার জন্য ভারতীয় প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম অর্জনের সম্ভাবনাকে বাড়াবে।
ভারত ও গায়ানার কূটনৈতিক সম্পর্ক ১৯৬৫ সালে শুরু হয়েছিল, যখন জর্জটাউনে ভারতীয় কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা গায়ানার স্বাধীনতার পর ১৯৬৮ সালে উচ্চ কমিশনে উন্নীত করা হয়। বছর ধরে, এই অংশীদারিত্ব প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য এবং প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারত-গায়ানা প্রতিরক্ষা সম্পর্কের একটি মূল মাইলফলক ছিল সাম্প্রতিককালে দুটি ডরনিয়ার-২২৮ বিমান সরবরাহ, যা ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের ২৩.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সুবিধার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়। এই বিমানগুলি হিন্দুস্থান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (এইচএএল) দ্বারা নির্মিত, যা গায়ানার সামুদ্রিক এবং বিমান নজরদারি সক্ষমতাকে সমর্থন করবে, যাতে জিডিএফ নিরাপত্তা হুমকি এবং জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রে আরও কার্যকরভাবে সাড়া দিতে পারে।
অ্যাডমিরাল ত্রিপাঠির সাথে বৈঠকের সময়, ব্রিগেডিয়ার খান গায়ানার সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের বিশাল অভিজ্ঞতা থেকে শেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। ভারতীয় নৌবাহিনীর দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগগুলি জিডিএফ-কে তাদের সামুদ্রিক টহল সক্ষমতাকে উন্নত করতে সহায়তা করবে, যা গায়ানার আঞ্চলিক জলসীমা এবং নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
প্রতিরক্ষা উৎপাদন সহযোগিতা সম্প্রসারণ
ব্রিগেডিয়ার খানের আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ভারতের “মেক ইন ইন্ডিয়া” এবং “মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড” উদ্যোগ, যা গায়ানার জন্য উচ্চমানের, সাশ্রয়ী মূল্যের প্রতিরক্ষা সরঞ্জামে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করে। এটি গায়ানার আত্মনির্ভরশীল প্রতিরক্ষা অবকাঠামো শক্তিশালী করার লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। গায়ানার প্রতিনিধিদল বিভিন্ন ডিপিএসইউ পরিদর্শন করার সময়, তারা ভারতের দেশীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির বিষয়ে অন্তর্দৃষ্টি অর্জন করবেন, যা ভবিষ্যত সরবরাহ চুক্তির ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারে।
ভারতের প্রতিরক্ষা উত্পাদন সক্ষমতা ইতিমধ্যে দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা এবং এখন ক্যারিবিয়ান দেশগুলিতে উপকৃত হয়েছে, যা সাশ্রয়ী সমাধানের মাধ্যমে নিরাপত্তা কাঠামো বাড়ানোর ইচ্ছুক দেশগুলির জন্য বিশ্বস্ত অংশীদার হিসাবে ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
ব্রিগেডিয়ার ওমর খানের ভারত সফর দুই দেশের মধ্যে আরও গভীর কৌশলগত সম্পর্কের অঙ্গীকার নির্দেশ করে, যেখানে উভয় পক্ষের জন্য স্পষ্ট সুবিধা প্রত্যাশিত। জটিল নিরাপত্তা উদ্বেগ মোকাবিলায় ভারত-গায়ানা অংশীদারিত্ব সামরিক প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি বিনিময়, এবং সামুদ্রিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে চলবে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক