সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এককাট্টা ভারত-নাইজেরিয়া


|

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এককাট্টা ভারত-নাইজেরিয়া
সন্ত্রাসবাদ এবং সাইবার দুনিয়া থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করল ভারত-নাইজেরিয়া, জানালো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও তার নাইজেরিয়ান সমকক্ষ নুহু রিবাদু মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর ২০২৪) নয়াদিল্লিতে দ্বিতীয় কৌশলগত ও সন্ত্রাসবিরোধী সংলাপে মিলিত হন এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করেন।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, দুই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সন্ত্রাসবাদ, উগ্রবাদ, চরমপন্থা এবং সাইবার স্পেস থেকে উদ্ভূত হুমকি ছাড়াও আন্তর্জাতিক অপরাধ, অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান নিয়ে কৌশলগত ভারত-নাইজেরিয়া অংশীদারিত্বের অধীনে গভীর আলোচনা করেন।

“দুই পক্ষ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শক্তিশালী করতে নির্দিষ্ট সহযোগিতার ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে এবং পুনরায় তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেছে যে কোনো প্রকার বা আকারে সন্ত্রাসবাদ গ্রহণযোগ্য নয়। তারা দ্বিপাক্ষিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হয়েছে,” জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

নাইজেরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই সফরে মানেসরে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কার্যালয় পরিদর্শন করেন। ভারত ও নাইজেরিয়ার মধ্যে প্রথম কৌশলগত ও সন্ত্রাসবিরোধী সংলাপ ৪-৫ মার্চ ২০২১ সালে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়।

এটি ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে একাধিক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের মধ্যে সর্বশেষ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর নাইজেরিয়া সফর করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ টিনুবু গত বছরের ৯-১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নিউ দিল্লির জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে মিলিত হন।

প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য সম্পর্ক শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের চালিকা শক্তি

ভারত ও নাইজেরিয়ার মধ্যে উষ্ণ, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। ১৯৫৮ সালের নভেম্বরে ভারত লেগোসে তার কূটনৈতিক কার্যালয় স্থাপন করে, যা নাইজেরিয়ার ১৯৬০ সালের স্বাধীনতার দুই বছর আগে।

প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভারত ও নাইজেরিয়ার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অন্যতম ভিত্তি, যা ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নাইজেরিয়া সফরের সময় ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ স্তরে উন্নীত হয়।

২০০৭ সালে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হয়। সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে সন্ত্রাস ও বিদ্রোহবিরোধী কার্যক্রম (সিটি/সিআই), সমুদ্র দস্যুবিরোধী অভিযান এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের সফর বিনিময় অন্তর্ভুক্ত।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে ভারত নাইজেরিয়ার শীর্ষ পাঁচ বাণিজ্য অংশীদারের মধ্যে ছিল। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভারত-নাইজেরিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১,৮৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, ভারত দুটি স্তরে নাইজেরিয়ার উন্নয়ন সহযোগী হয়ে উঠছে – স্বল্পসুদের ঋণ প্রদান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে।

ভারত নাইজেরিয়াকে ১০০ মিলিয়ন ডলারের লাইন অব ক্রেডিট সহায়তা প্রদান করছে। এর মধ্যে দুটি চুক্তি ইতোমধ্যেই বাস্তবায়নের মধ্যে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নাইজেরিয়ার ক্রস রিভার রাজ্যে গ্যাস চালিত টারবাইন বিদ্যুৎ উৎপাদন স্টেশন স্থাপনে ৩০ মিলিয়ন ডলার এবং কাদুনা রাজ্যে ২x৬০ এমভিএ ট্রান্সমিশন সাবস্টেশন, সৌরচালিত স্ট্রিট লাইট এবং ৫০ কেভিএ মিনি-গ্রিডের জন্য ৩১.০৫ মিলিয়ন ডলারের দুটি উপপ্রকল্প। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক


ভারত সফরে এসেছেন নেপালের সেনাপ্রধান
ভারত সফরে এসেছেন নেপালের সেনাপ্রধান
এই সফর দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা উন্নত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রিত।
|
ভারত-নেপাল পর্যটন সম্পর্ক: কাঠমান্ডুতে প্রথম সভা
ভারত-নেপাল পর্যটন সম্পর্ক: কাঠমান্ডুতে প্রথম সভা
এই সভাটি মহাকুম্ভ ২০২৫-এর একটি উদ্বোধনী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে, যা উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হবে।
|
গগনযানের ‘ওয়েল ডেক’ প্রস্তুতিতে সফল ইসরো-নৌবাহিনী
গগনযানের ‘ওয়েল ডেক’ প্রস্তুতিতে সফল ইসরো-নৌবাহিনী
গগনযান মিশন সফল করতে মহাকাশ থেকে নিরাপদে ক্রু ফিরিয়ে আনার পথে বড় অগ্রগতি ভারতের নৌবাহিনী এবং ইসরো।
|
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অভিযোজনের শীর্ষে ভারত: গবেষণা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অভিযোজনের শীর্ষে ভারত: গবেষণা
নতুন দক্ষতা অর্জনে ভারতীয় কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার প্রচেষ্টা উঠে এসেছে এক প্রতিবেদনে।
|
“রাশিয়া-ভারত বন্ধুত্ব সর্বোচ্চ পাহাড়ের চেয়েও উঁচু”
“রাশিয়া-ভারত বন্ধুত্ব সর্বোচ্চ পাহাড়ের চেয়েও উঁচু”
রাজনাথ পুতিনকে বলেছেন, নয়াদিল্লি ও মস্কোর ‘বন্ধুত্ব’ পৃথিবীর সর্বোচ্চ পাহাড়ের চেয়েও উঁচু এবং গভীরতম সমুদ্রের চেয়েও গভীর
|