মালদ্বীপে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের নিয়ে শুরু হয়েছে সপ্তম কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ।
মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে আজ শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভ। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও জোরদার ও স্থিতিশীল করতে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, মরিশাস, বাংলাদেশ এবং সেশেলসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিগণ।

ইউক্রেন ইস্যুতে বিশ্ব ও আঞ্চলিক রাজনীতিতে যখন নানামুখী মেরুকরণের আভাস, ঠিক সেই সময়ে মিনিলেটারাল ওই বৈঠক হচ্ছে। সভাটির আয়োজক নীল জলরাশির হাজারের বেশি ছোট-বড় দ্বীপ সমৃদ্ধ এশিয়ার আকর্ষণী পর্যটন গন্তব্য মালদ্বীপ।

দু’দিনের এই বৈঠকে মোটাদাগে ভারত মহাসাগরের সার্বিক নিরাপত্তা, সমুদ্রপথ ব্যবহার করে সংঘটিত মানব পাচার, সন্ত্রাস ও উগ্রবাদী তৎপরতা প্রতিরোধ এবং সাইবার তথা প্রযুক্তি নির্ভর যেকোনো প্রভাবশালী রাষ্ট্রের অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা সংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয়ে আলোচনা হবে।

শুধু তাই নয়, মহাসাগরের বিস্তীর্ণ জলরাশির সৌন্দর্য-সম্ভোগে কেউ অপপ্রয়োগ করলে সম্ভাব্য প্রতিরোধী ব্যবস্থা কি হতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা বৈঠকে। সমুদ্রপথে অস্ত্র-গোলা, স্বর্ণ বা মাদক পাচার, সন্ত্রাস এবং চরমপন্থা আমদানি-রপ্তানি মামুলি বিষয়। তাই সেখানে পাইরেসির ঝুঁকি যেমন রয়েছে, দুর্যোগ-দুর্বিপাক তো নিত্যদিনের ঘটনা।

বৈঠকে ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। বুধবারের বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে প্রতিবেশীদের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার আহ্বান জানান তিনি। পাশাপাশি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে এঁকে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর আহবানও জানান তিনি।

বৈঠকের বিষয়ে জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও। সেখানে বলা হয়েছে, “প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিয়া দিদি এই অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার প্রতি রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহের প্রতিশ্রুতি এবং কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের প্রতি সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।”

উল্লেখ্য, কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) মূল লক্ষ্যগুলো যথাক্রমে, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) স্ট্রিমলাইন করা এবং আন্তঃকার্যক্ষমতা উন্নত করা। এর আগে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের অধীনে সহযোগিতার মূল চারটি ক্ষেত্র নির্ধারণ করেছিলো সদস্য দেশগুলো। সেগুলো যথাক্রমেঃ সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাস ও মৌলবাদ নিয়ন্ত্রণ, পাচার এবং সংগঠিত অপরাধ দমন এবং সাইবার নিরাপত্তা। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক