সকালে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলায় অবস্থিত শ্রীহরিকোটা থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হল অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট।
আবারও মহাকাশ গবেষণায় সাফল্যের নজির ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। সোমবার সকালে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর জেলায় অবস্থিত শ্রীহরিকোটা থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হল এনভিএস-১ অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট। ২২৩২ কেজির স্যাটেলাইটটি পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার সময় একেবারে ছবির মতো সুন্দর গতিতে উড়ে গেল মহাকাশে। চলতি বছর এনিয়ে ৫টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল ইসরো।

এই সাফল্যে স্বভাতবই খুশি ইসরোর বিজ্ঞানীরা। দেশের উড়ান প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করার লক্ষ্যে এ ধরনের স্যাটেলাইট ব্যবহার করতে চায় ইসরো। তারই প্রস্তুতি হিসেবে এই উৎক্ষেপণ। চলতি বছর এনিয়ে ৫টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

ঘড়িতে তখন কাঁটায় কাঁটায় ১১টা। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের কন্ট্রোল রুমে সার বেঁধে বসে বিজ্ঞানীরা। মিশন এনভিএস-১ উৎক্ষেপণ। এরপর নিখুঁতভাবে জিএসএলভি এফ১২ লঞ্চপ্যাড ছেড়ে আকাশমুখী হওয়ার পরই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন তাঁরা। একে অপরের করমর্দন, আলিঙ্গন করে আনন্দের বহিপ্রকাশ ঘটান। তাঁদের মতে, স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের সময়ে একদম ছবির মতো লাগছিল, যাকে বলে পিকচার পারফেক্ট।

এই স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ দেশের উপগ্রহ সংক্রান্ত গবেষণা তো বটেই, যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও যুগান্তকারী বদল আনতে পারে বলে দাবি বিজ্ঞানী মহলের। বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এই স্যাটেলাইনট সিস্টেম একাধিক কাজে সাহায্য করবে। গতিপথ নিয়ন্ত্রণ, দিকনির্দেশ, সময় নির্ধারণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সহজ হবে এই সিস্টেমে।

জিএসএলভি’র সমান ওজনের এই অত্যাধুনিক স্যাটেলাইটকে দ্বিতীয় প্রজন্ম বলা হচ্ছে। উৎক্ষেপণের পর নির্দিষ্ট কক্ষপথে কাজ করতে করতে এনভিএস-১ সৌরশক্তির সাহায্যে নিজেই নিজের শক্তি সংগ্রহ করতে পারবে।

এছাড়া লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিও চার্জ হবে এবং ২.৪ কিলোভোল্ট শক্তি উৎপন্ন করতেও সক্ষম এই স্যাটেলাইট। বিজ্ঞানীদের মতে, এনভিএস-১ ভারতের উপগ্রহ প্রযুক্তিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তা সফল হলে অনেক কাজই সহজ হবে। তাই তার সফল উৎক্ষেপণে নানা স্বপ্ন দেখছেন বিজ্ঞানীরা। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক