ভারতে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সার্বিক বিষয়াদি নিয়ে মতবিনিময় করেছেন এস জয়শঙ্কর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নতুন ভারতকে দেখছে বিশ্ব। এই মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, “পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদী হলেন ‘বিশ্বগুরু’। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘দ্য বস’ বলেছেন… প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে বিশ্ব এখন একটি নতুন ভারত দেখছে।”

ত্রিদেশীয় সফর শেষে বৃহস্পতিবার সকালেই দিল্লিতে এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মাতৃভূমিতে পৌঁছনোর পর মোদীকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। দিল্লির পালম বিমানবন্দর চত্বরে একটি সভামঞ্চ থেকে এস জয়শঙ্কর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিশ্ব এখন নতুন ভারতকে দেখছে। জয়শঙ্কর যোগ করেছেন, যদি এখন ভারতের ভাবমূর্তি, মর্যাদা, বিশ্বে ভারতের স্থান উচ্চতর হয়, এ জন্য সমস্ত কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী মোদীর। আমি শুধু বলতে পারি, এটা নতুনের শুরু।

এদিকে, অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে একটি অভিবাসন চুক্তি করেছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। নতুন এই চুক্তির লক্ষ্য দুই দেশের ‘ছাত্র, স্নাতক, একাডেমিক গবেষক এবং ব্যবসায়ীদের গতিশীলতাকে উন্নীত করা’।

বুধবার সিডনিতে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ শেষে এ তথ্য জানানো হয়। সাক্ষাতে দুই নেতা এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করেছেন।

ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া চার সদস্যের কোয়াড গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপে জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় নাগরিক বসবাস করছেন। আদমশুমারির তথ্য থেকে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসা ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশই ছিল ভারতীয় নাগরিক।

এর আগে মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, দুই দেশ খনি এবং খনিজ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেছে। অস্ট্রেলিয়া-ভারত সবুজ হাইড্রোজেন টাস্কফোর্স প্রতিষ্ঠার বিষয়ে এগিয়ে গেছে। ওই দিন অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত ভারতীয় প্রবাসীরা সিডনির একটি ইনডোর স্টেডিয়ামে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে মোদি বক্তৃতা করছিলেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক