ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার বিদ্যমান ব্যাপক অংশীদারিত্ব জোরদার করার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশের মাটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই তাঁরা সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন মন্দিরে যে হামলা চালিয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিরা, তা নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে তাঁরা সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানেই তাঁরা এই সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে কড়া বার্তা দেন।
অস্ট্রেলিয়ার মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে যুগ্ম সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং আমি, অতীতে অস্ট্রেলিয়ার মন্দিরে হামলা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কার্যকলাপের বিষয়ে আলোচনা করেছি। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি করে এমন কোনও উপাদানকে কখনই বরদাস্ত নয়। প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ আবারও আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, তিনি ভবিষ্যতেও এই ধরনের উপাদানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।”
ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার সকালে সিডনির অ্যাডমিরালটি হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। পরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক বিনিময়ের সাক্ষী হন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে মোদী বলেছেন, “বিগত এক বছরে এটি আমাদের ষষ্ঠ বৈঠক। এই বৈঠক আমাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং আমাদের সম্পর্কের পরিপক্কতা প্রতিফলিত করে। ক্রিকেটের ভাষায়, আমাদের বন্ধন টি-২০ মোডে প্রবেশ করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “খনিজ সেক্টরে আমাদের কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আমরা গঠনমূলক আলোচনা করেছি…আমরা সবুজ হাইড্রোজেনের উপর একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” মোদী ও অ্যান্টনি যৌথ প্রেস বিবৃতি জারি করার পর সিডনিতে খোলামেলা কথোপকথনও করেছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোদী। জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল সেখানে। তাতে যোগ দিতে ব্রিসবেন, ক্যানবেরা থেকে বাসে চেপে হাজির হন দলে দলে প্রবাসী ভারতীয়রা। সেখানে হাজার হাজার মানুষের মাঝে যেই হাজির হন মোদি, উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙে, যা দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি আলবানিজও।
এ দিন ট্যুইটারে তাই সরাসরি মুখ খোলেন আলবানিজ। কুডোজ অ্যারিনায়, অনুষ্ঠানস্থল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘শেষ বার এই মঞ্চে ব্রুস স্প্রিংস্টিনকে দেখে এমন উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করেছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যে ভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে, ব্রস সেই আন্তরিকতা পাননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাকে বলে, হলেন দ্য বস’।
প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মোদীর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন আলবানিজও। ভারতীয় নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মোদীর আগে মঞ্চে ভাষণ দিতে ওঠেন আলবানিজ। সেখানে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর দেন তিনি। বলেন, “আমি ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে ষষ্ঠ বার মুখোমুখি হলাম আমরা। একবছর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিই আমি। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার পারস্পরিক সম্পর্ক কারও অজানা নয়। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত। জনপ্রিয়তায় সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ভারত মহাসাগরে আমাদের প্রতিবেশী ভারত। তাই পারস্পরিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া কাম্য।”
বুধবারও অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে মোদী এবং আলবানিজের। অস্ট্রেলিয়া রাশি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১৬৪ বাসিন্দা নিজেদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলে মানেন, যা কিনা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার ২.৮ শতাংশ। এঁদের মধ্যে ৫ লক্ষ ৯২ হাজার মানুষের জন্ম ভারতেই। ভারত মহাসাগরে চিনের আধিপত্য রুখতেও ভারতের সঙ্গে চতুর্দেশীয় সামরিক সহযোগিতা জোটে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক
অস্ট্রেলিয়ার মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে যুগ্ম সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং আমি, অতীতে অস্ট্রেলিয়ার মন্দিরে হামলা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কার্যকলাপের বিষয়ে আলোচনা করেছি। ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি করে এমন কোনও উপাদানকে কখনই বরদাস্ত নয়। প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ আবারও আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, তিনি ভবিষ্যতেও এই ধরনের উপাদানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবেন।”
ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার সকালে সিডনির অ্যাডমিরালটি হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি আনুষ্ঠানিক গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। পরে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক বিনিময়ের সাক্ষী হন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ বিবৃতিতে মোদী বলেছেন, “বিগত এক বছরে এটি আমাদের ষষ্ঠ বৈঠক। এই বৈঠক আমাদের সম্পর্কের গভীরতা এবং আমাদের সম্পর্কের পরিপক্কতা প্রতিফলিত করে। ক্রিকেটের ভাষায়, আমাদের বন্ধন টি-২০ মোডে প্রবেশ করেছে।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, “খনিজ সেক্টরে আমাদের কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আমরা গঠনমূলক আলোচনা করেছি…আমরা সবুজ হাইড্রোজেনের উপর একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” মোদী ও অ্যান্টনি যৌথ প্রেস বিবৃতি জারি করার পর সিডনিতে খোলামেলা কথোপকথনও করেছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রবাসী ভারতীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোদী। জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল সেখানে। তাতে যোগ দিতে ব্রিসবেন, ক্যানবেরা থেকে বাসে চেপে হাজির হন দলে দলে প্রবাসী ভারতীয়রা। সেখানে হাজার হাজার মানুষের মাঝে যেই হাজির হন মোদি, উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙে, যা দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি আলবানিজও।
এ দিন ট্যুইটারে তাই সরাসরি মুখ খোলেন আলবানিজ। কুডোজ অ্যারিনায়, অনুষ্ঠানস্থল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘শেষ বার এই মঞ্চে ব্রুস স্প্রিংস্টিনকে দেখে এমন উন্মাদনা প্রত্যক্ষ করেছিলাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে যে ভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে, ব্রস সেই আন্তরিকতা পাননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যাকে বলে, হলেন দ্য বস’।
প্রবাসী ভারতীয়দের নিয়ে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে মোদীর সঙ্গে এদিন উপস্থিত ছিলেন আলবানিজও। ভারতীয় নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মোদীর আগে মঞ্চে ভাষণ দিতে ওঠেন আলবানিজ। সেখানে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর দেন তিনি। বলেন, “আমি ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে ষষ্ঠ বার মুখোমুখি হলাম আমরা। একবছর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিই আমি। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার পারস্পরিক সম্পর্ক কারও অজানা নয়। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে ভারত। জনপ্রিয়তায় সকলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। ভারত মহাসাগরে আমাদের প্রতিবেশী ভারত। তাই পারস্পরিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া কাম্য।”
বুধবারও অস্ট্রেলিয়ায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক রয়েছে মোদী এবং আলবানিজের। অস্ট্রেলিয়া রাশি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের ৬ লক্ষ ১৯ হাজার ১৬৪ বাসিন্দা নিজেদের ভারতীয় বংশোদ্ভূত বলে মানেন, যা কিনা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার ২.৮ শতাংশ। এঁদের মধ্যে ৫ লক্ষ ৯২ হাজার মানুষের জন্ম ভারতেই। ভারত মহাসাগরে চিনের আধিপত্য রুখতেও ভারতের সঙ্গে চতুর্দেশীয় সামরিক সহযোগিতা জোটে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক