ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, এই নিয়ে মোট ৩০০০ ভারতীয়কে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হল।
১৫ এপ্রিল থেকে সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফ-এর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে পাঁচশোরও বেশি মানুষের। ঘরছাড়া প্রায় ৭৫ হাজার। আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের পাশাপাশি সুদানে আটকে পড়েছেন বহু ভারতীয়ও। তাঁদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নৌসেনা ও বায়ুসেনার সহায়তায় শুরু হয়েছে ‘অপারেশন কাবেরী’।

সুদানে আটকে পড়া আরও ২৩১ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হল। তাঁদের ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিশেষ বিমানে সৌদি আরবের জেড্ডা থেকে মুম্বই নিয়ে আসা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে, এই নিয়ে মোট ৩০০০ ভারতীয়কে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হল।

অন্তত ৩৫০০ জন ভারতীয় এবং ১০০০ জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত আটকে ছিলেন সুদানে। দিন পাঁচেক আগেই একথা জানিয়েছিলেন বিদেশ সচিব বিনয় কোয়াত্রা। একইসঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেছিলেন, গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সুদানের পরিস্থিতির উপরে প্রতিনিয়ত নজর রাখছে ভারত সরকার।

আর বিদেশ মন্ত্রকের এই তথ্য যে পুরোপুরি ঠিক তার প্রমান সুদান থেকে দেশে ফেরা ভারতীয়দের নিয়ে বিমান বাহিনীর ১২ তম উড়ান। বুধবার যাতে মুম্বইয়ে এলেন ২৩১ জন।

দেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বুধবার টুইট করে সুদান থেকে ভারতে ফেরা ২৩১ জন দেশবাসীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই নিয়ে বারোতম উড়ান নির্বিঘ্নে জেড্ডা থেকে রওয়ানা হয়ে ভারতে আসল। এই উদ্ধারকাজকে ভারত সরকার নাম দিয়েছে অপারেশন কাবেরী।

উদ্ধার অভিযানে আটকে পড়া ভারতীয়দের প্রথমে বাসে পোর্ট সুদানে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজ অথবা বিমান বাহিনীর বিশেষ উড়ানে আনা হচ্ছে জেড্ডায়। এরপর জেড্ডা থেকে বিমান বাহিনীর উড়ানে তাঁদের দেশে ফেরানো হচ্ছে।

এই বিশেষ অভিযানের জন্য জেড্ডা ও পোর্ট সুদানে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তাঁরা ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছে। অবশ্য বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে সুদানের আরতীয় দূতাবাস আপাতত সে দেশের রাজধানী থেকে সরিয়ে পোর্ট সুদানে নিয়ে আসা হয়েছে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক