ভারতের প্রতিবেশী প্রথম নীতির আওতায় মালদ্বীপ অন্যতম প্রধান মিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং ভূ-রাজনীতিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এখন মালদ্বীপ সফরে রয়েছেন। মঙ্গলবার মালে-তে সে দেশের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রাজনাথ সিং। দ্বিপাক্ষিক নানা বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং টুইট করে জানিয়েছেন, “মালে-তে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহের সঙ্গে চমৎকার বৈঠক হয়েছে। ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য আমরা বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।”

উল্লেখ্য, ১ থেকে ৩ মে মালদ্বীপ সফর করবেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি তার মলদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মারিয়া আহমেদ দিদি এবং বিদেশমন্ত্রী আবদুল্লাহ শহিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। আলোচনায় দুদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্কের সব দিক পর্যালোচনা করা হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী সফরে মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন।

প্রতিরক্ষা খাতে ভারতের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ এবং অংশীদারদের সক্ষমতা বাড়াতে রাজনাথ সিং মলদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে একটি দ্রুত টহল জাহাজ এবং একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট উপহার দেবেন। সফরকালে তিনি দেশে চলমান প্রকল্পের স্থানগুলোও পরিদর্শন করবেন। এনআরআইদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই সফর দুদেশের মধ্যে মজবুত বন্ধুত্বের বন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে প্রমাণিত হবে।

ভারত ও মলদ্বীপ সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ, জলদস্যুতা, চোরাচালান, সংগঠিত অপরাধ এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলিকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে একসঙ্গে কাজ করছে। ভারত মলদ্বীপের ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতির পাশাপাশি এই অঞ্চলের সকলের জন্য নিরাপত্তা ও উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গি সহ ‘প্রতিবেশী ফার্স্ট’ নীতির অধীনে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের মধ্যে যৌথভাবে সক্ষমতা বিকাশের জন্য একসঙ্গে কাজ করার জন্য তৈরি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক