উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় হতে ভারত ও বাংলাদেশ সহযোগিতা ও সমর্থনের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার ভাগাভাগি করে থাকে।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) নয়া দিল্লিতে চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লি শাংফুর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় অচলাবস্থার পর, এই প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হলেন দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা। ২৮ এপ্রিল সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে এদিনই দিল্লি এসেছেন চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

সূত্রের খবর, ভারত-চিন সীমান্ত এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই মন্ত্রীর খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। রাজনাথ সিং স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সীমান্তে শান্তি ও স্থিতাবস্থার উপরই ভারত ও চিনের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।

চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে তিনি আরও বলেছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখাকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে, তা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং প্রতিশ্রুতি অনুসারে সমাধান করতে হবে। এই চুক্তিগুলির লঙ্ঘনের কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি নষ্ট হয়েছে।

উল্লেখ্য, দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এই বৈঠকের কয়েকদিন আগেই চুশুল-মোল্ডো সীমান্তে ভারত-চিনের মধ্যে কর্পস কমান্ডার স্তরের ১৮তম রাউন্ডের বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে, দুই পক্ষই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে। একেবারে শুরু থেকেই ভারত বলেছে যে, সীমান্ত এলাকায় শান্তি না থাকলে চিনের সঙ্গে সম্পর্ক কখনই স্বাভাবিক হবে না। এদিন চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পাশাপাশি কাজাখস্তান, ইরান এবং তাজিকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গেও পৃথক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন।

আগামী চিনা বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাংও ভারতে আসছেন। ৪ ও ৫ মে গোয়ায় এসসিও সদস্য দেশগুলোর বিদেশমন্ত্রীদের সম্মেলন হওয়ার কথা। সেখানে যোগ দিতেই ভারতে আসছেন কিন গ্যাং। এই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টোরও।

তার আগে ২৮ এপ্রিল নয়াদিল্লিতে এসসিও গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের বৈঠকের সভাপতিত্ব করবেন রাজনাথ সিং। চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পাশাপাশি কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ভারতে না আসলেও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠকে অংশ নেবেন। পাশাপাশি, বর্তমানে এসসিও গোষ্ঠীর পর্যবেক্ষক হিসেব থাকা বেলারুশ এবং ইরানকেও এই বৈঠকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত সরকার। আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা, এসসিও-র সন্ত্রাস-বিরোধী প্রচেষ্টা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করবেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক