৭৫ কেজি বিভাগের ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৫-২ স্কোরলাইনে স্প্লিট ডিসিশনের মাধ্যমে ম্যাচ জিতে নিলেন লভলিনা।
বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিজয়রথ অব্যাহত। চারে চার করে ফেললেন ভারতীয় বক্সাররা। নীতু, স্বাতী, নিখাতের পর সোনা জিতলেন লভলিনা বড়গোঁহাই। আসামের বক্সারের এই খেতাবজয়ের ফলে এবারের চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত সবমিলিয়ে মোট চারটি সোনা জিতে নিল।

টুর্নামেন্টের ইতিহাসে স্বর্ণপদক জয়ের বিচারে এটিই ভারতের সর্বসেরা (যুগ্মভাবে) পারফরম্যান্স। ২০০৬ সালেও ভারতীয় বক্সাররা চারটি সোনা জিতেছিলেন। অবশ্য সেইবার সব মিলিয়ে ভারতীয় বক্সাররা আরও বেশি, মোট আট পদক ঘরে তোলেন।

৭৫ কেজি বিভাগের ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৫-২ স্কোরলাইনে স্প্লিট ডিসিশনের মাধ্যমে ম্যাচ জিতে নিলেন লভলিনা। প্রথম রাউন্ডে শুরুটাই দারুণ আগ্রাসী মেজাজে করেন লভলিনা। তিনি স্প্লিট ডিসিশনে ৩-২ প্রথম রাউন্ড জেতেন। তবে লভলিনার অজি প্রতিপক্ষ কাইটলিন পার্কার কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ডে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসেন এবং ৪-১ দ্বিতীয় রাউন্ড জিতেও নেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি ভারতীয় বক্সার। ম্যাচের শেষ রাউন্ডে ফের দাপট দেখিয়ে খেতাব নিজের নামে করেন তিনি।

৫০ কেজির বিভাগে সফলভাবে নিজের খেতাব ধরে রাখলেন নিখাত জারিন। তিনি ভিয়েতনামের থি থামের বিরুদ্ধে দাপুটে মেজাজে ৫-০ স্কোরলাইনে ফাইনাল ম্যাচ জিতে নেন। সেমিফাইনালে কলম্বিয়ার ইনগ্রিত ভ্য়ালেন্সিয়াকে ৫-০ হারিয়ে ফাইনালে নিডের জায়াগা পাকা করেছিলেন নিখাত। ফাইনালে চাপের মুখেও কিন্তু নিজের সেরাটা উজাড় করে দেন। প্রথম রাউন্ড থেকে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত দাপট দেখান নিখাত। দুই বারের এশিয়ান গেমসজয়ীকে ম্যাচে ফেরার তেমন সুযোগই দেননি নিখাত।

নিখাতের স্বর্ণপদকের সুবাদে বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে ভারতের ঝুলিতে বর্তমানে মোট ১৩টি সোনা হয়ে গেল। ইতিহাস তৈরি করলেন নিখাতও। মাত্র দ্বিতীয় ভারতীয় বক্সার হিসাবে একাধিক খেতাব জিতলেন তিনি। ২৬ বছর বয়সি তারকা তাঁর আইডল মেরি কমের পরে প্রথম ভারতীয় হিসাবেও নাগাড়ে দুইবার খেতাব জিতলেন। কিংবদন্তি মেরি কম কিন্তু একাই ছয় ছয়টি বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ খেতাব জিতেছিলেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক