ভূ-কৌশলগত প্রেক্ষাপটে পরপর অ্যালবানেজ় ও কিশিদার সফর ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীনের কাছেও তা যথেষ্ট বার্তাবহ।
সদ্য শেষ হল অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানেজ়-এর ভারত সফর। এক সপ্তাহ পরই আসছেন চর্তুমুখী অক্ষ কোয়াড-এর আর এক সদস্য দেশ জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা। ভারত-জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতেই নয়াদিল্লি আসছেন তিনি। কিশিদা ২০ ও ২১ মার্চ ভারত সফর করবেন৷

কূটনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, অঞ্চলের ভূ-কৌশলগত প্রেক্ষাপটে পরপর অ্যালবানেজ় ও কিশিদার সফর ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিনের কাছেও তা যথেষ্ট বার্তাবহ। ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা একাধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সক্রিয় অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রপথে নৌসেনার সহযোগিতাকে আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দুই দেশ। এবার জাপানের সঙ্গে ভারতের আলোচনায় অগ্রাধিকার পেতে চলেছে উন্মুক্ত, উদার, আইনের শাসন মানা এক সমুদ্র বাণিজ্যপথ তৈরির প্রসঙ্গ।

বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের সভাপতিত্ব এবং মে মাসে জি ৭ শীর্ষ বৈঠকে জাপানের সভাপতিত্ব নিয়েও আলোচনা করবেন মোদী ও কিশিদা। সম্মেলনে আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে মে মাসে মোদীকে জাপান যাওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিক ভাবে আমন্ত্রণ জানাবেন কিশিদা।

সূত্রের খবর, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থনৈতিক পরিণাম এবং জ্বালানি ও সারের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হবে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক