২০২০ সালের গালওয়ান কাণ্ডের পরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীনা আগ্রাসনের নিন্দায় অস্ট্রেলিয়ান সরকারকে সরব হতে দেখা গিয়েছে।
২২ গজে যতই লড়াই থাকুক, কূটনীতিতে ক্রিকেটকেই হাতিয়ার করতে চায় ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া চতুর্থ টেস্ট দেখতে গিয়ে যেন সেই বার্তাই দিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ়। তাঁর সঙ্গী হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং!

মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বের সূচনাপর্ব থেকেই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ক্রিকেট কূটনীতির উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। ২০১৪ সালে ভারত সফরে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবট। দ্বিপাক্ষিক অসামরিক পরমাণু চুক্তির পাশাপাশি, সেই সফরের অন্যতম প্রাপ্তি ছিল কিংবদন্তি ক্রিকেটার ডন ব্র্যাডমানের সংগ্রহশালা থেকে তাঁর ব্যবহৃত বিভিন্ন ক্রিকেট সরঞ্জাম এনে ভারতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা।

পরবর্তী এক দশকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়েছে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের আধিপত্য রুখতে আমেরিকা এবং জাপানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘চতুর্দেশীয় অক্ষ’ (কোয়াড) গড়েছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। সামরিক স্তরেও সহযোগিতা বেড়েছে দু’দেশের। এমনকি, ২০২০ সালের গালওয়ানকাণ্ডের পরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে চিনা আগ্রাসনের নিন্দায় অস্ট্রেলিয়াকে সরব হতে দেখা গিয়েছে।

এই আবহে মোদীর ক্রিকেট কূটনীতি নয়াদিল্লি-ক্যানবেরা সম্পর্কে নতুন মাত্রা আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০২১ সালে মোতেরা স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করে মোদীর নামে রাখা হয়। সেখানে ম্যাচ দেখার পাশাপাশি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, জলসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনা হতে পারে বলে বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে। বৃহস্পতিবার ম্যাচ দেখার আগে মাঠে নেমে দু’পক্ষের ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখাও করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক