চলতি বছরে ভারতের নয়াদিল্লিতে বসবে জি-২০ সম্মেলন। শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বিশ্বনেতারা।
জি-২০ এজেন্ডার অবিচ্ছেদ্য অংশ হল স্বাস্থ্য। বললেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী পারভিন পওয়ার। বুধবার জি-২০ দেশগুলোর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্ম গোষ্ঠীর প্রথম বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী পারভিন পওয়ার বলেছেন, “মহামারীর সঙ্কটের সময় জি-২০ দেশগুলি সকলের জন্য উন্নত এবং ন্যায়সঙ্গত স্বাস্থ্য অর্জনের লক্ষ্যে নিজস্ব সদস্যদের মধ্যে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রচারের স্বার্থে ধারাবাহিকভাবে কাজ করেছে। স্বাস্থ্য হল জি-২০ এজেন্ডার অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

বুধবার কেরলে তিরুবনন্তপুরমে শুরু হয়েছে জি-২০ দেশগুলি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্ম গোষ্ঠীর প্রথম বৈঠক। এই বৈঠক উপলক্ষ্যে তিরুবনন্তপুরম শহর সেজে উঠেছে জি-টোয়েন্টি লোগোতে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে বসবে জি-২০ সম্মেলন। শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বিশ্বনেতারা। আয়োজক দেশ হিসেবে বৈঠকের সভাপতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে শুরু হয়েছে ঘরোয়া বৈঠক।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা মহামারি। এর মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। সংকটে বিশ্ব অর্থনীতি। এমন সময়ে শিল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল ২০টি দেশের সম্মেলনের দিকে নজর বিশ্ববাসীর।

চলতি বছরে অর্থনৈতিক মন্দার আভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এদিকে ঋণের শর্ত কঠিন করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এডিবি। বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেই দিল্লির প্রগতি ময়দানে আগামী ৯ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর বসবে জি-২০ শীর্ষ বৈঠক। এর প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ঘরোয়া বৈঠক শুরু হলো কলকাতায়।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) এ সম্মেলনের প্রথম বৈঠকের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার এবং এক ভবিষ্যৎ’ স্লোগানে শুরু হওয়া এই বৈঠকে এদিন ডিজিটাল অর্থনীতির ওপর আলোচনা হয়। সেই সঙ্গে আলোচনায় উঠে আসে নারীর ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক মুক্তির প্রসঙ্গ।

তবে তৃণমূল সরকারের প্রকল্প জনমুখী হলেও অনেক প্রান্তিক নারী এখনও নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করেন অনেকে।

সোমবার থেকে শুরু হওয়া কলকাতার এই বৈঠকে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ও প্রতিনিধিসহ অংশ নেন বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এডিবির প্রতিনিধি। বুধবার (১১ জানুয়ারি) পর্যন্ত চলবে এই বৈঠক। শীর্ষ সম্মেলনের আগে ভারতের ২০টি শহরে ২০০ ঘরোয়া সম্মেলন হবে।

এছাড়া, চলতি সপ্তাহেই ১৬ ও ১৭ জানুয়ারী পুনেতে অনুষ্ঠিত হয় জি-২০ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক। তথ্যটি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক