নির্বাচন কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমাইল হাবীব বলেন, শিগগিরই জাতীয় অভিযোগ ব্যুরো ও অ্যাটল কমপ্লেন্টস ব্যুরো গঠন করা হবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ তৌফিক বলেন, ৯ সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দ্বিতীয় দফায় ভোটের প্রয়োজন হলে পুনরায় ৩০ সেপ্টেম্বর ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

এ সময় নির্বাচন কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ইসমাইল হাবীব বলেন, শিগগিরই জাতীয় অভিযোগ ব্যুরো ও অ্যাটল কমপ্লেন্টস ব্যুরো গঠন করা হবে।

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে রাজধানী মালেতে ১৪৬টি, হুলহুমালেতে ৪৭টি, ভিলিমালে ১০টি, অ্যাটলে ২৩৭টি এবং দেশের বাইরে ১২টি ব্যালট বক্স স্থাপন করা হবে।

ইসমাইল হাবীব আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজার, যা গত ২০১৮ সালের নির্বাচনের চেয়ে ২১ হাজার জন বেশি। আগামী ২ মে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে।

চলতি বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এখন পর্যন্ত চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা হলেন: বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, সংসদের স্পিকার মোহাম্মদ নাশিদ, মালদ্বীপ ন্যাশনাল পার্টির (এমএনপি) চেয়ারপারসন মোহাম্মদ নাজিম এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উমর নাসির।

এ ছাড়াও অঘোষিত অন্য দলগুলোর মধ্যে জুমহুরি পার্টি (জেপি) এবং মালদ্বীপ ডেভেলপমেন্ট অ্যালায়েন্স (এমডিএ) জানিয়েছে, তারা নির্বাচনে প্রার্থী দেবে। বর্তমান সংসদের বিরোধী দল পিপিএম ও পিএনসি জোট তাদের নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন আব্দুল গাইয়ুমকে দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করেছে।

প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। এ ছাড়া আগামী ১০ আগস্ট থেকে প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রচার শুরু করার সুযোগ পাবেন এবং ৮ সেপ্টেম্বর প্রচারাভিযান বন্ধ হবে।

ফৌজদারি আদালত গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ইয়ামিনকে অর্থ পাচার ও ঘুষ গ্রহণের দায়ে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। তাই উচ্চ আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আসন্ন নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক