জয়শঙ্করের সফরের প্রাক্বালে মার্কিন কর্তাদের সাথে মিশ্রীর বৈঠক


|

জয়শঙ্করের সফরের প্রাক্বালে মার্কিন কর্তাদের সাথে মিশ্রীর বৈঠক
ফাইল ছবি
একজন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, ভারত-মার্কিন সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। জয়শঙ্করের এই সফর ২৪-২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ পর্যন্ত চলবে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) এই সফরের ঘোষণা দেয়। এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ের পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ।

সফরের প্রাক্কালে, ভারতীয় বিদেশ সচিব মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেল এবং ব্যবস্থাপনার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী রিচার্ড ভার্মার সাথে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত এবং সাবেক বিদেশ সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রাও উপস্থিত ছিলেন।

রিচার্ড ভার্মা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “ভারতীয় বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রাষ্ট্রদূত ভিনয় মোহন কোয়াত্রাকে আবারও @স্টেটডেপ্ট -এ স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট ক্যাম্পবেলের সাথে আমরা #ইউএসইন্ডিয়া সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করার প্রত্যাশা করছি, যা পারস্পরিক বিশ্বাস, শেয়ার্ড ভ্যালুজ এবং সবার সমৃদ্ধির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।”

এর আগে একই দিন ভার্মা একটি রাউন্ডটেবিল আলোচনার আয়োজন করেন, যেখানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কিত বিশেষজ্ঞরাও অংশ নেন। আলোচনা সভায় কোয়াত্রাও উপস্থিত ছিলেন। ভার্মা এক্স-এ আরও লেখেন, “ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কোয়াত্রা এবং #ইউএসইন্ডিয়া সহযোগিতার মূল অংশীদারদের আবারও @স্টেটডেপ্ট-এ স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। আমরা বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, জনগণের মধ্যে সংযোগ এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের অগ্রগতির কথা উদযাপন করেছি।”

তিনি ‘সংখ্যায় সংখ্যায় ভারত-মার্কিন সম্পর্ক' শীর্ষক একটি উপস্থাপনা দেন, যেখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়:
ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ২০০০ সালে ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০২৩ সালে ১৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, এবং ২০২৪ সালে এটি ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রতিরক্ষা বাণিজ্য ২০০০ সালে শূন্য থেকে ২০২৩ সালে ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

২০২৪ সালে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক মহড়া অংশীদার। এতে মালাবার (নৌবাহিনী), যুদ্ধ অভ্যাস (থলসেনা), কোপ ইন্ডিয়া (বিমান বাহিনী), বজ্র প্রহার (সন্ত্রাসবিরোধী), এবং টাইগার ট্রায়াম্ফ (অ্যামফিবিয়াস) অন্তর্ভুক্ত।

২০০০ সালে ৫৪,৬৬৪ ভারতীয় শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতেন, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩১,৬০০।

২০০০ সালে ১.৯ মিলিয়ন ভারতীয় প্রবাসীর সংখ্যা ২০২৩ সালে ৫ মিলিয়নের বেশি হয়েছে।

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল ভারতের বৃহত্তম রেমিট্যান্সের উৎস।

যুক্তরাষ্ট্রের ২০% ইউনিকর্নে ভারতীয় অভিবাসীরা প্রতিষ্ঠাতা বা সহপ্রতিষ্ঠাতা।

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র মিশন ভারতীয়দের জন্য ১০ লক্ষাধিক ভিসা ইস্যু করেছে।

বোস্টন এবং লস অ্যাঞ্জেলসে নতুন ভারতীয় কনস্যুলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে; অপরদিকে বেঙ্গালুরু ও আহমদাবাদে নতুন মার্কিন কনস্যুলেট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক।
যুক্তরাষ্ট্রে মোদী: মেগা অংশীদারিত্বের পথে
যুক্তরাষ্ট্রে মোদী: মেগা অংশীদারিত্বের পথে
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশেই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে দ্বিদলীয় ঐকমত্য রয়েছে।
|
ভারতে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র
ভারতে সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এবং জলসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সরবরাহ নীতি পুনর্বিবেচনার ঘোষণা দিয়েছে।
|
২০৩০ নাগাদ ভারত-মার্কিন বাণিজ্য দ্বিগুণের ঘোষণা
২০৩০ নাগাদ ভারত-মার্কিন বাণিজ্য দ্বিগুণের ঘোষণা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান এবং জলসীমা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সরবরাহ নীতি পুনর্বিবেচনার ঘোষণা দিয়েছে।
|
২৬/১১ জড়িতদের বিচারে পাকিস্তানকে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা
২৬/১১ জড়িতদের বিচারে পাকিস্তানকে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা
২৬/১১ মুম্বাই ও পাঠানকোট হামলার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন মোদী ও ট্রাম্প।
|
মোদী-ট্রাম্প বৈঠকে এআই রোডম্যাপের প্রতিশ্রুতি
মোদী-ট্রাম্প বৈঠকে এআই রোডম্যাপের প্রতিশ্রুতি
প্রাথমিকভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর চাওয়া ভারতে মার্কিন অংশীদারিত্বে এআই অবকাঠামো তৈরী হোক।
|