সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে উজবেকিস্তানে কৌশলগত সফর শুরু করেছেন


|

সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে উজবেকিস্তানে কৌশলগত সফর শুরু করেছেন
সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে উজবেকিস্তানের শীর্ষ প্রতিরক্ষা নেতৃত্বের সাথে মূল আলোচনায় অংশ নেবেন। (ফাইল)
এই সফরে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি এবং যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে
ভারতের সেনা প্রধান (সিওএএস) জেনারেল মনোজ পান্ডে, ১৫ এপ্রিল, ২০২৪-এ উজবেকিস্তান প্রজাতন্ত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চার দিনের সফর শুরু করেন। এই সফরটি ভারত ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক এবং সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তকে নির্দেশ করে। উজবেকিস্তান।
 
উজবেক প্রতিরক্ষা নেতাদের সাথে জড়িত
 
তার প্রথম দিনে, জেনারেল পান্ডে উজবেকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাখোদির কুরবানভ সহ উজবেকিস্তানের শীর্ষ প্রতিরক্ষা নেতৃত্বের সাথে মূল আলোচনায় অংশ নেবেন; মেজর জেনারেল খালমুখামেদভ শুকরাত গায়রাতজানোভিচ, প্রতিরক্ষার প্রথম উপমন্ত্রী এবং সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান জেনারেল স্টাফ; এবং মেজর জেনারেল বুরখানভ আহমেদ জামালোভিচ, উপমন্ত্রী এবং বিমান ও বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান। এই সংলাপ দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 
সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক ব্যস্ততা
 
জেনারেল পান্ডের যাত্রাপথে সশস্ত্র বাহিনী জাদুঘর পরিদর্শনও রয়েছে, যা উজবেকিস্তানের সমৃদ্ধ সামরিক ইতিহাসের অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। সফরটি হস্ত ইমাম এনসেম্বল পর্যন্ত চলতে থাকে, একটি উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক স্থান, যেখানে উজবেকিস্তানের কৃতিত্ব এবং ঐতিহাসিক বর্ণনা প্রদর্শিত হয়েছিল।
 
১৬ এপ্রিল, সিওএএস ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকে তার স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরবর্তীকালে, জেনারেল পান্ডে ভিক্টোরি পার্ক পরিদর্শন করবেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে উজবেকিস্তানের আত্মত্যাগকে স্মরণ করে।
 
দিনের ব্যস্ততার মধ্যে রয়েছে উদ্ভাবনী প্রযুক্তি এলএলসি সেন্টারে একটি পরিদর্শন। এখানে, জেনারেল পান্ডে সামরিক উদ্ভাবনে দেশটির অগ্রগতি তুলে ধরে উজবেকিস্তান কর্তৃক গৃহীত উন্নত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি উদ্যোগগুলি অন্বেষণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
 
শিক্ষাগত এবং সামরিক লিঙ্কগুলিকে শক্তিশালী করা
 
ইন্দো-উজবেক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্য, জেনারেল পান্ডে উজবেকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী একাডেমি পরিদর্শন করবেন যেখানে তিনি ভারতের সহায়তায় প্রতিষ্ঠিত একটি আইটি ল্যাব উদ্বোধন করবেন। প্রতিরক্ষা সহযোগিতা তাদের এজেন্ডার একটি বিস্তৃত কাঠামো হিসাবে অন্তর্নিহিত শিক্ষাগত এবং প্রযুক্তিগত উদ্যোগগুলিকে ধারণ করে।
 
১৭ এপ্রিল, জেনারেল পান্ডে সেন্ট্রাল মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের কমান্ডারের সাথে দেখা করতে সমরখন্দে যাবেন, কৌশলগত সামরিক সংলাপকে শক্তিশালী করবেন। সফরটি ১৮ এপ্রিল টারমেজে শেষ হবে, যেখানে জেনারেল পান্ডে যৌথ অনুশীলন ডাস্টলিক প্রত্যক্ষ করবেন।
 
অতিরিক্তভাবে, জেনারেল পান্ডে টারমেজ যাদুঘর এবং সুরখান্দারিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করবেন, যেখানে তিনি উজবেকিস্তানের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ল্যান্ডস্কেপ এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্যের প্রশংসা করেছেন।
 
উদ্দেশ্য এবং ফলাফল
 
জেনারেল মনোজ পান্ডের সফরের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল ভারত ও উজবেকিস্তানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা জোরদার ও প্রসারিত করা। উচ্চ-পর্যায়ের আলোচনায় জড়িত, যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়া এবং সহযোগিতার জন্য নতুন উপায় অন্বেষণ করে, এই সফর দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
 
এই সফরের সময় মিথস্ক্রিয়াগুলি প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি, সামরিক প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষাগত বিনিময়ে বর্ধিত সহযোগিতার দিকে পরিচালিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে, একটি শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথ প্রশস্ত করবে যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা গতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
ভারত সফরে এসেছেন নেপালের সেনাপ্রধান
ভারত সফরে এসেছেন নেপালের সেনাপ্রধান
এই সফর দুই দেশের সামরিক সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রতিশ্রুতি ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা উন্নত করার লক্ষ্যে কেন্দ্রিত।
|
ভারত-নেপাল পর্যটন সম্পর্ক: কাঠমান্ডুতে প্রথম সভা
ভারত-নেপাল পর্যটন সম্পর্ক: কাঠমান্ডুতে প্রথম সভা
এই সভাটি মহাকুম্ভ ২০২৫-এর একটি উদ্বোধনী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে, যা উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিত হবে।
|
গগনযানের ‘ওয়েল ডেক’ প্রস্তুতিতে সফল ইসরো-নৌবাহিনী
গগনযানের ‘ওয়েল ডেক’ প্রস্তুতিতে সফল ইসরো-নৌবাহিনী
গগনযান মিশন সফল করতে মহাকাশ থেকে নিরাপদে ক্রু ফিরিয়ে আনার পথে বড় অগ্রগতি ভারতের নৌবাহিনী এবং ইসরো।
|
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অভিযোজনের শীর্ষে ভারত: গবেষণা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অভিযোজনের শীর্ষে ভারত: গবেষণা
নতুন দক্ষতা অর্জনে ভারতীয় কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার প্রচেষ্টা উঠে এসেছে এক প্রতিবেদনে।
|
“রাশিয়া-ভারত বন্ধুত্ব সর্বোচ্চ পাহাড়ের চেয়েও উঁচু”
“রাশিয়া-ভারত বন্ধুত্ব সর্বোচ্চ পাহাড়ের চেয়েও উঁচু”
রাজনাথ পুতিনকে বলেছেন, নয়াদিল্লি ও মস্কোর ‘বন্ধুত্ব’ পৃথিবীর সর্বোচ্চ পাহাড়ের চেয়েও উঁচু এবং গভীরতম সমুদ্রের চেয়েও গভীর
|