বাংলাদে শ নি জে র স্বাধীনতার ৫০ তম বছর উদযাপন করছে । এ বছরটি ভারত বাংলাদে শে র সম্পর্কে র ও স্বর্ণ জয়ন্তী । ইতি হাস এর হাত ধরে এই দুই দে শে র সম্পর্ক গড়ে ওঠার কাহি নীর দি কে ফি রে তাকাবার এটা একটা উপযুক্ত সময় |

প্রবীণ সাংবাদি ক দি লীপ চক্রবর্তী বাংলাদে শ (তখন কার পূর্ব পাকি স্তান) এ ১৯৭১এ এক মাস এর ওপর সময় কাটি য়ে ছি লে ন আর মক্তিু যুদ্ধের ঘটনাবলি লিপিবদ্ধ করেছিলেন। মক্তিু যুদ্ধে ওনার কলমের অবদান এর জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১২ তে অন্যান্য আন্তর্জাতিক মনীষীদের সাথে দিলীপ বাবু কে বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মান দিয়ে সম্মানিত করে।
দিলীপ বাবু India News Network এর মি হি র ভ োন্সলে র সাথে কথাবার্তা তে ১৯৭১ সালে র ঘটনার স্মৃতি চারণ করলে ন ।
মিহির - আপনি আমাকে বলতে পারেন একজন সাংবাদিক হিসেবে আপনি বাংলাদেশের ১৯৭১ এর স্বাধিনতার মক্তিু যুদ্ধ তে কি ভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন?
দি লীপ - বাংলাদে শে র মুক্তি যুদ্ধর প্রস্তুতি অনে ক দি ন ধরে চলছি ল, মানুষে র আন্দ োলন ও চলছি ল ।
দে শে প্রথম পাতায় খবর কি ন্তু১৯৭০ সাল পর্যন্ত ছি লনা , পশ্চি ম বাংলা তখন নি জে দে র ভে তর সহি ংস রাজনীতি করতে মে তে ছি ল।
বাংলাদে শে র বি ষয়টা পশ্চি ম বাংলা এবং ভারতবাসি দে র সামনে আসে ১৯৭০ সালে র নি র্বাচন এর পর যখন পাকি স্তানি রা আওয়ামী লীগে র হাতে শাসন দে য়না, আর তার থে কে বি রাট গন আন্দ োলন তৈ রি হয় . তখন আমি ২৮ বছরে র এক তরুন সংবাদি ক . মুজি বর রহমান আন্দ োলনটা গান্ধীবাদি রাস্তায় চালাচ্ছি লে ন। তবে ৭ই মার্চ ১৯৭১ এ উনি রমনাএ ঘ োষণা করে ন এবারকার সংগ্রাম মুক্তি র সংগ্রাম, তখন পশ্চি ম বাঙ্গলার খবরে বাংলাদে শ এর সংগ্রাম জায়গা পায়।
মার্চ এর ২৫এ মার্শাল ল লাগু করা হয় ঢাকা তে, সেটা পরের দিন সব কাগজে জায়গা করে নেয়। তারপর আমরা ক'একজন সাংবাদিক বর্ডার পার করে বাংলাদেশ এ ঢুকে পড়ি, যার ভেতর, আমি এবং আনন্দ বাজারের বরুন সেনগুপ্ত, স্টেট্সম্যান এর মানস ঘোষ এবং আরও বেশ কিছুজন ছিলাম । যে যেমন পেরেছে গেছে, আমি বসিরহাট দিয়ে সাতক্ষীরা দিয়ে বাংলাদেশ এ ঢুকেছিলাম ।
মিহির- আপনি বাংলাদেশে ঢোকার পরের কিছু অভিজ্ঞতার ব্যাপারে কিছু বলন । ু
দিলীপ- আমি আমার প্রথম ডে স্পাচ এর শে ষ কটি লাইন পড়ে শোনাচ্ছি i- মার্চ ২৯এ খবর পে লাম যশ োর এ লড়াই শুরু হয়ে ছে . পাক সৈ ন্য বাহি নি সে দি ন ক্যান্টনমে ন্ট এর রাস্তায় ছি ল তারা চারি দি কে আক্রমন শুরু করে ছে খবর আছে , খুলনা তে ব্যাপক লড়াই, এ সব খবরে র পর শহরে র মহি লা, শি শু ও বৃদ্ধ দে র শহর থে কে গ্রামে সরি য়ে আনা হচ্ছে । মার্চ ৩০ এ যশ োর থে কে অনে কে গ্রামে হাজি র হলে ন খাবার এর খ োঁজে , তাদে র খাবার নে ই. গ্রামে ও খাবার এর টানাটানি , তাও যে যা পারল, তাদে র দি ল. ওঁদে র কাছে ই খবর শুনলাম পাক সৈ ন্য বাহি নি রাস্তায় নে মে আশে পাশে র গ্রাম অঞ্ছল কে আক্রমন করছে , মুক্তি বাহি নি প্রতি র োধ গড়ে তুলে ছে , রাস্তায় রাস্তায় ব্যারি কে ড করে ছে । মে য়ে রাও অংশ গ্রহন করছে , ওঁদে র কাছে ই শুনলাম যশ োরে র পুলি স কর্তা জব্বার সাহে ব মুক্তি বাহি নি র সাথে কি ভাবে পাশে
দাঁড়ি য়ে ছে ন ।
রাতে খুলনা থে কে MNA (Member of National Assembly) এসে ছে ন, উনি ব োললে ন আর বি লম্ব না করে বাংলাদে শে র সংগ্রামী মানুষে র পাশে দাঁড়াতে হবে । ওখানে ই এক বৃদ্ধে র সাথে আলাপ, সে ই বৃদ্ধ ব োললে ন ওনার বয়ে স ৯৬। উনি ব োললে ন, এখনও লড়তে পারি , একটা বন্দুক পাইলে স্বাধীনতার লাইগ্যা লড়তাম। ওনার দুঃখ ছি ল যে উনি বৃদ্ধ বলে ওনাকে শহর থে কে সরি য়ে আনা হয়ে ছে । উৎসাহ এত ছি ল যে একটা ছ োট, উলঙ্গ বাচ্চা আমাকে ডে কে বলে ছে , একটা বন্দুক দে ন ত ো, ইয়াহা (খান) কে গুলি করে মারব।
আমার প্রথম ডে স্পাচ এর শে ষ লাইন ছি ল, ইংরে জ দে র বি রুদ্ধে সি পাহি বি দ্র োহে র কাহিনী শুনে ছি , হাতে হাতে অস্ত্র ঘুরে ছি ল. বীর
তি তুমি র এর কাহিনী শুনে ছি , ইংরে জদে র বি রুদ্ধে তি নি লড়াই এ নে মে ছি লে ন। ভি য়ে তনাম এর কাহি নী শুনে ছি , শুধুজনতার ঐক্য কে সম্বল করে সাধারন অস্ত্র নি য়ে ভি য়ে তনাম বাসী মার্কি ন সাম্রাজ্যবাদ এর বি রুদ্ধে লড়ে ছে ন, বাংলাদে শ এর সাড়ে সাত ক োটি মানুষ যে ন এই তি ন সংগ্রামে র সমন্বয় করছে ন "।
আমি তার পর অনে ক বার গে ছি , তবে একটা অন্যতম রি প োর্ট হল "কর োত োয়ার পারে তি ন রাত্রি "
এ প্রসঙ্গে জানাই,কর োত োয়ার পারে রি প োর্ট টার জন্য গি য়ে ছি লাম দি নাজপুর এর তে তুলি য়া, পঞ্চবট ইত্যাদি ।. আমি তখন মুক্তি য োদ্ধাদে র সঙ্গে ঘুরছি খ োকন চ ৌধুরী নাম নি য়ে .
মি হি র - আপনার নামে ঘুরলে কি অসুবি ধা হ োত?
দি লীপ - আমি যদি ধরা পড়ে যাই? ওখানে তখন আল বাদর, রাজাকার, জামাতরা রাস্তায় ঘুরছে , মুক্তি য োদ্ধা দে র খুন করছে , বি শে ষ করে হি ন্দুদে র, আর যারা আওয়ামী লীগ এর পক্ষে তাদে র । খ োকন চ ৌধুরী নাম টা হি ন্দুমুসলমান দুট োতে ই চলে । আমি পুর ো উত্তর বাংলাদে শ ঘুরে ছি , আর পত্রি কাতে লে খাগুল োতে আমার নাম থাকতনা, পাছে ধরা পড়ে যাই । তবে পরে যখন বই হি সে বে বার করে ছি তখন নি জে র নামে ই বার করে ছি । কর োত োয়ার একটি নদি , যা গে ছে বাংলাদে শে র বগুরা দিয়ে। আমি ঐ যুদ্ধে র মধ্যে বগুরায় গে লাম, আর যে দি ন সে খানে প ৌঁছুলাম, সে দি নই পাকি স্তান সে না বগুরা দখল করে নি ল আর আমি তখন পালি য়ে আসলাম । রি প োর্টটি ঐ পালি য়ে আসার তি ন দি ন এর কাহি নী ।
সে যাত্রায় রাজাকার দে র গ্রামে গে ছি । তাদের কে বললাম আমি বগুরা থে কে পালি য়ে ভারত এর ভে তর দি য়ে রাজশাহি যাব ো, ওখানে আত্মীয় থাকে ন । সে ই যাত্রায় পাক সে না আমাদে র রাতে আটক করলে আমরা সে ই একই কথা বলি । সাত জন ছি লাম, সবাই কে এক লাইন এ দাঁড় করি য়ে সার্চ করবে , আমি নি শ্চি ত, যে সার্চ করলে আমি গুলি তে মারা যাব ো। তার আগে ই ত্রি পুরা বর্ডার এ দুজন ভারতীয় সাংবাদি ক প্রান হারি য়ে ছি লে ন। সে টি আমার জীবন এর সব থে কে বেশি টে নশন ভরা মুহূর্ত। আমার ব্যাগ এ আমার প্রে স অ্যাক্রি ডি সন কার্ড আর একটি ছ োট ক্যামে রা আছে , যা হাত দি লে ই ধরা পড়ে যাব ো। মনে মনে মা বাবা কে প্রণাম করে , যারা পাঠি য়ে ছে , তাদে র কে প্রণাম করে , মুখে যথা সম্ভব হাসি রে খে সি গারে ট খাচ্ছি । সাথে র সবাই মুসলি ম, কি ন্ত আমার কাপড় খুললে ই মে ধরা পড়ে যাব ো যে আমি হি ন্দু, মুসলি ম না। যে ছে লে টি সার্চ করছে , সে ছ'জন কে সার্চ করে আমার কাছে এসে ছে । কানে র কাছে মুখ এনে বলল, ঘাবড়াইবে ন না। ব্যাগ এ হাত দি য়ে হাত টা বার করে ব োলল, শখে র ক্যামে রা? আমি বললাম হ্যাঁ। সে হে সে উঠল, এই হল সমস্যা, আমরা বউ ছে ড়ে দি তে পারি , শখ না । সে তার পর অফি সারদে র জ োরে বলল, স্যার, কি ছুনে ই, শুধুক্যামে রা। অফি সার এসে এক লাথি মে রে গালি দি য়ে ছে ড়ে দি ল, আমি প্রান এ বে ঁচে গে লাম ।
সে সময় সাঙ্ঘাতি ক কাজ করে ছি , ভারত হয়ে আবার বাংলাদে শ এ ঢুকে ছি । স ৌরভ বলে এক জন গাড়ি চালাচ্ছি ল ো, তারও আবার স ৌরভ নামটা ছদ্ম নাম, আর সে ঐ প্রথম রাস্তায় গাড়ি চালাচ্ছি ল ো। দুদি ন খাওয়া হয়ে নি , এরকম অবস্থা তে একটি গ্রামে প ৌঁছুলাম। গ্রামে র মানুষ একটা আল ো নি য়ে এসে আমাদে র মুখ গুল ো দে খে নি ল । আমরা ঠি ক করে ছি লাম ক োন কথা বলব না, তাই শুধুমুখ নি চুকরে বসে থাকলাম। গ্রামে বচসা শুরুহয়ে গে ল ো, আমাদে র খে তে থাকতে দে বে কি দে বে না। ছে লে রা বলে , এদে র থাকতে দি লে পুলি স এসে গ্রাম জ্বালি য়ে দে বে । সে ই সময় এক মহি লা এসে আমার মুখ ভাল ো করে দে খে বলল, এরা যাই হ োক, এরা দে শে র জন্য লড়ছে , 'প োলা পুলি সব নে তাইয়া গে ছে ' । মানে সব শুকি য়ে গে ছে । সে ই আমার মনে হল, মায়ে দে র মন সব সময় আলাদা থাকে , তাই রাজাকার বাড়ি র বউ ও এ কথা বলল ।
আমি ঠিক করলাম আমি খাব না, ওদের খাওা দাওয়া তে অভ্যস্ত নেই, যদি ধরা পড়ে যাই, সেই চিন্তায় । পেটে ক্ষিদে, কিন্তু তাও খেলাম না। রাত এ শুয়ে আছি , এক জন এসে বলল, আরে , তুমি না মুসলমান আর তুমি পশ্চি ম দি কে পা করে শুয়ে আছ? খে য়াল করি নি যে মুসলমান রা পশ্চি ম দি কে পা করে শ োয়ে না, ওদি কে মক্কা আছে বলে . ওইটা ছি ল রাজাকার দে র গ্রাম, আমরা বলে পার পে লাম যে গণ্ডগ োল এ মাথা খারাপ হয়ে গে ছে , তাই পশ্চি ম দি ক টা খে য়াল হয়ে নি ।
সকাল এ আমরা ৩৫ কি ল োমি টার দ ৌড়ে বর্ডার এ আসি , তখন সে খানে উভয় দি ক থে কে কামান এর গ োলা চলছে । সে ই জীবনে প্রথম যুদ্ধ দে খলাম। "কর োত োয়ার পারে তি ন রাত্রি " তে এর বি ষদ বি বরণ আছে ।
বগুরাহাট থে কে ভারত ঢুকে , যাব ো বালুরঘাট, সে খান থে কে আবার বাংলাদে শ ঢুকব। তখন সাথে র ছে লে দে র ভে তর এক জন বাংলাদে শে র কয়ে কটা সি গারে ট এর প্যাকে ট এনে দি ল। আমি বললাম যে , এখন না ভাই, এখন ক োথায় আমরা ত োমাদে র সাহায্য করব, তার জায়গায় ত োমার থে কে উপহার নি তে পারি না। দে শ স্বাধীন হ োক, তার পর দি ও। সে হে ঁসে বলল, তখন ত ো আমি বে ঁচে নাও থাকতে পারি ।
এর পর একটা রি প োর্ট ছি ল - যশ োর তখন যুদ্ধ বি ধ্বস্ত, ১০ মাইল দূরে খুলনার ট্যাঙ্ক আর কামান এর আওয়াজ শ োনা যায়, আগুনে র শি খা আকাশে দে খা যায়। আমার সাথে তখন কাজি রকে য়া সুলতানা ছি লে ন । পরে উনি আওয়ামী লীগ এর এক নে তা নুফ উল আলম লে নি নে র সাথে বিয়ে করেন। এ ছাড়া ম োনায়ে ম সরকার নামে , একজন আওয়ামী লীগ এর নে তাও ছি লে ন। যাদে র সাথে মুক্তি যুদ্ধর সময়ে পরি চয় হয়ে ছি ল তাদে র অনে কে ই আমার সাথে সম্পর্ক রাখে ন। সে ই সময় কার একটা ঘটনা, আমরা ভারতীয় ট্যাঙ্ক বাহি নি র সাথে যাচ্ছি , দে খি একটি সৈনিক, ব োধ হয়ে পাঠান সৈ ন্য, মরে পড়ে আছে । তার পাশে একটা ডাইরি , তাতে একটা বাচ্ছা মে য়ে র ছবি আর উর্দুবা পস্তো ভাষায় কি ছুলে খা আছে । আমার সাথে র সাংবাদি ক বললে ন, দে খ, এই হতভাগা এখানে যশ োরে এসে জীবন দি ল, এর বউ মে য়ে হয়ত পড়ে আছে করাচি বা পে শাওয়ার ।
তবে আমার দুঃখ হল যে ১৬ই ডি সে ম্বর যে দি ন বাংলাদে শ স্বাধীন হয়ে , সে দি ন ঢাকায় যে তে পারি নি । মে ঘালয় থে কে বরুন সে নগুপ্ত আর একজন তরুন গাঙ্গুলি যে তে পে রে ছি লে ন, কলকাতা থে কে কে উ যে তে পারে নি ।
তাজুদ্দি ন আহে মে দ বক্তৃতা করে ছি লে ন ৯ই ডি সে ম্বর ১৯৭১ . উনি সে দি ন বলে ছি লে ন বাংলাদে শ স্বাধীন হতে আর দে রি নে ই, ঢাকা হবে স্বাধীন বাংলার রাজধানী। আমি স্বাধীন বাংলাদে শ যে তে পারলাম ১৯৭২ এর ফে ব্রুয়ারী ১৯ বা ২০ তারি খ। তারপর বহুবার গে ছি । ওখানে র পুরান ো ল োকে দে র সাথে এখনও ভাল ো সম্পর্ক আছে । তাজুদ্দি ন আহামাদ এর প্রতি আমার এক গভীর শ্রদ্ধা আছে । উনি যাই হ োক, একটা দে শে র অল্পকালি ন প্রধান মন্ত্রী ছি লে ন, তাও অফি সে র টে বি লে এ ঘুম োতে ন। আমরা মে ওয়ার এর রানা প্রতাপ এর কথা শুনে ছি , যে যত দি ন চি ত্ত োর স্বাধীন না হয়ে উনি বি ছানায় শ োবে ন না, আর স োনার থালায় খাবার খাবে ন না। তাজুদ্দি ন আহমাদ প্রতি জ্ঞা করে ছি লে ন যে যত দি ন স্বাধীনতা না পাওয়া যায়, তি নি তার স্ত্রী আর সন্তান দে র কাছে যাবে ন না। ওনার মে য়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ছি ল, তাও উনি দে খতে যাননি । বলতে ন, অনে কে র ত ো পরি বার ত ো মারা গে ছে , আমরা কি করতে পারব তাদে র জন্য ।
মিহির – বাংলাদেশ এর স্বাধীনতার যুদ্ধে কলকাতা, বিশেষ করে পশ্চিম বাংলার কী অংশ গ্রহন ছিল?
দিলীপ - আমার স্মৃতি তে আরও আছে ১২ই ডি সে ম্বর ১৯৭১ মার্কি ন ৭ম ফ্লীট সে দি ন পাকি স্তান এর পক্ষে ভারত মহাসাগর এ আসে । নে ভি র এক কাপ্তান এর সাথে কথা হয়ে , উনি দি ল্লি তে খবর করলে ন যে ৭ম ফ্লীট এলে আমরা কি করব, তার সাথে ত ো ভারত পারবে না। মানে কশা জানালে ন, ত োমাদে র তা দে খার দরকার নে ই, ওরা যদি ত োমার গ োলার রে ঞ্জে এ আসে ত ো স োজা গুলি চালি য়ে দে বে , যা হবার হবে । . তার পর খবর এল, তোমাদের যার যা কাজ সেটা করে যাও, ত োমাদে র যারা রক্ষা করবে , তারা নি জে র কাজ করবে । তার ভে তর রাশি য়ান ফ্লীট ও চলে এল ভ্লাদি ভাস্তাক থে কে । কলকাতা তখন থর থর করছে , কি হবে । তার ভে তর কলকাতা শুধুনয়, সারা ভারতবর্ষ বাংলাদে শ এর পক্ষে ছি ল। নতুন স্ল োগান শুরুহয়ে ছি ল, বি শ্বে আসছে নতুন দি ন, ইন্দি রা, মুজি ব আর ক োসিগিন। সে সব দি ন মনে পড়লে আবার তরুন হয়ে উঠতে ইচ্ছে করে , গর্ব হয় । বাংলাদে শ মৈ ত্রী সম্মান সারা বি শ্ব জুড়ে ৩৯০ জন কে দে ওয়া হয়ে ছে , তাতে
ইন্দি রা, মানে কশা, ব্রে জনে ভ, কে নে ডি ইত্যাদি আছে , তাদে র সাথে আমরা বাংলার কয়জন সাংবাদি ক ও আছি । তাদে র ভে তর আমি এক মাত্র, যে মুক্তি য োদ্ধা দে র সাথে তাদে র একজন হয়ে ঘুরে ছি লাম। সে সময়ে র মানুষ ভাগ করে খে তে পারত। যখন এক পয়সা ট্রাম ভাড়া বাড়াতে চারি দি কে আগুন লে গে যে ত, তখন মুক্তি য োদ্ধা দে র পাশে দাঁড়াবার জন্য সরকার ডাক খাম, ইনলান্ড বা প োস্টকার্ড এর দাম বাড়ি য়ে দি ল, কে উ ক োন কথা বলে নি । ধর্ম নি য়ে বাংলা সবার থে কে আলাদা। সে সময় এক খুব গ োঁড়া ব্রাহ্মন পরি বার, যারা মুসলমান শুনলে চমকে উঠতে ন তারা নি জে র ছে লে র নাম রে খে ছি লে ন মুজি বুর রহমান, আর মে য়ে র নাম রে খে ছি লে ন অ্যামে রি কার অ্যা্ঞ্জে লা'র নামে

বাংলাদে শে র মুক্তি যুদ্ধ, এদি ক আর ওদি ক, দুদি কে রই মানুষে র চি ন্তাভাবনা পাল্টে দি য়ে ছি ল। ডি পি ধর, ইন্দি রা গান্ধি র সে ই সময়কার সচি ব ছি লে ন, এক জায়গায় লি খে ছে ন, যখন মার্কি ন দে শে র নি ক্সন, ইন্দি রার সাথে খারাপ ব্যাবহার করে , কি সি ঞ্জর তখন চি ন, পাকি স্তান আর আমে রি কা নি য়ে একটা নতুন গ্রুপ তৈ রি করছি লে ন। ইন্দি রা কে প্রথমে সবাইকে এটাই ব োঝাতে হয়ে ছি ল যে এটা স্বাধীনতার যুদ্ধ। মুলত ভারতে র জনগন, অন্যান্য গনতান্ত্রি ক গ োষ্ঠীরা সবাই মুক্তি যুদ্ধর পক্ষে ছি লে ন।
মি হি র- মুক্তি যুদ্ধর পরবর্তী সময় আপনার বাংলাদে শে র সাথে কি রকম সম্পর্ক থে কে ছে ? .
দি লীপ - আমি ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত প্রতি বছর কম করে এক বার গে ছি . একবার বঙ্গবন্ধুর সাথে দে খা করতে গি য়ে ছি লাম শুধু। আর একবার, তখন যুদ্ধ বি ধ্বস্ত দে শ টা দুর্ভি ক্ষে র যন্ত্রণা তে ভুগছে , তখন ওনার ল োক জন এর সাথে কুমি ল্লা গে ছি । রাস্থার ধারে এক বৃদ্ধা মহি লা কে মলি ন অবস্থাতে দাঁড়ি য়ে থাকতে দে খে উনি গাড়ি থে কে নে মে সে ই বৃদ্ধা কে জড়ি য়ে ধরে ছি লে ন। প্রথম কি ছুমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এদে র সাথে আমার সম্পর্ক ছি ল ।
তার পর ১৯৯৬ এ তখন যাই, যখন আমার বই টা বে র োয়। তার পর ২০০৩, তার পর ২০১১ আর শে ষ ২০১২ তে পুরস্কার আনতে যাই। আমি অনে ক বার গে ছি তার পর, আর বাংলাদে শ সরকার আমাদে র কয়জন সাংবাদি ক দে র মৈ ত্রে ই সম্বর্ধনা টা দি য়ে ছে ন. বরুন সেন গুপ্ত, দে বদুলাল বন্দোপাধ্যায়, এনারা মরণ োত্তর সম্মান পে য়ছে ন। আমি , মানস ঘোষ, উপে ন তরফদার, আর রে ডি ও থে কে পঙ্কজ সাহা, এনারাও পে য়ছে ন । আমার সাথে ই মার্ক তুলি ও পে য়ে ছি লে ন, এ ছাড়া অনে কে আরও।
মি হি র- আমি পরি শে ষে এটুকুজানাতে চাই, যে , ওনার সাথে এই প্রশ্ন উত্ত োরে র পালা, এক অনন্য অভি জ্ঞতার সঞ্চার করে । ওনার বর্ণি ত আর ো খুঁটি নাটি আল োচনা আমাকে বাংলাদে শে র মুক্তি যুদ্ধে র ইতি হাসে র ব্যাপারে গভীর অনুসন্ধি ৎসায় আমন্ত্রি ত ক োরল ো।