সৈন্যদের বেশিরভাগই সেই দল থেকে যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ লড়েছিল এবং জিতেছিল।
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি ১২২ সদস্যের শক্তিশালী দল ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে এই ইভেন্টের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো অংশ নেবে।
বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশীর কাছ থেকে বড় আকারের দলীয় অংশগ্রহণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে কারণ এ বছর দুই দেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী এবং নৌবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত এই ত্রি-পরিষেবা সংস্থার নেতৃত্ব দেবেন লেঃ কর্নেল আবু মোহাম্মদ শাহনূর শাওন। এতে তার ডেপুটি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে লেফটেন্যান্ট ফারহান ইশরাক এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সিবত রহমান কে ।
এই বৃহৎ দলের বেশিরভাগ সৈন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বাধিক বিশিষ্ট দল,ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ১, ২, ৩, ৪, ৮, ৯, ১০ এবং ১, ২ এবং ৩ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট নিয়ে গঠিত। দলটির তৈরির সাথে পরিচিত সূত্র জানিয়েছে, এই দলগুলোর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ লড়াইয়ে বিজয়ী করার স্বতন্ত্র সম্মান রয়েছে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই দলে বাংলাদেশ নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরাও আছেন যারা দেশকে মুক্ত করতে ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশ নৌ ও বিমান বাহিনীর অপারেশন জ্যাকপট এবং কিলো বিমান নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যথাক্রমে তাদের সংকল্প, সাহস এবং দৃড়তার পরিচয় দিয়েছে, সূত্রগুলি উল্লেখ করেছে।
বাংলাদেশের এই দলটি সেই সাথে কিংবদন্তি মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকার বহন করে যারা অত্যাচারী শক্তির দ্বারা নিপীড়ন, গণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল। বিজয় সুনিশ্চিতের জন্য বীর মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী শত্রুদের বিরুদ্ধে পাশাপাশি লড়াউয়ের এমন অনেক গল্প রয়েছে, যা ইতিহাসে অমর বন্ধনকে নিশ্চিত করেছিল।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছরের পাশাপাশি এই বছর বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে। স্মরণীয় অনুষ্ঠানগুলি যৌথভাবে এবং অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশে আয়োজন করা হবে।
বাংলাদেশের মুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান তা সম্পর্ককে এমনকি কৌশলগত অংশীদারিত্বেরও ছাড়িয়ে যায়।
Contact Us
Subscribe Us


Contact Us
Subscribe
News Letter

